নিজস্ব প্রতিনিধি, মিরসরাই »
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগর পরিদর্শন করেছেন প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস। তিনি বৃহস্পতিবার দুপুরে সড়ক পথে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগর পরিদর্শনে আসেন। চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন কর্মকান্ড সরেজমিনে পরিদর্শনের অংশ হিসেবে এইসফর করেন তিনি।
এসময় তাঁর সাথে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা)-এর নির্বাহী সদস্য (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) ও অতিরিক্তসচিব ইরফান শরীফ, চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার মোঃ কামরুল হাসান, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমানসহ বেজার কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
প্রথমে তিনি শেখ হাসিনা সরোবরে মাছের পোনা অবমুক্ত করেন। পরে আম্রপালি জাতের একটি আম গাছের চারা রোপন করেন। চারা রোপন শেষে শিল্প এলাকায় নির্মিতব্য বিভিন্ন শিল্পকারখানা পরিদর্শন করেন।
দুপরে কাজের অগ্রগতি জানতে তিনি বেজা কর্মকর্তাদের সাথে জরুরী বৈঠকে মিলিত হন।
প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস সাংবাদিকদের বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগরসহ দেশের সব কয়টি শিল্পনগর চালু হলে লাখ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হবে। দেশি বিদেশী বিনিয়োগ বাড়বে। ইতিমধ্যে বিশ্বের অনেক দেশ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগরে বিনিয়োগ করেছে।
বেজার অতিরিক্ত সচিব (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) মো. ইরফান শরীফ বলেন, কোভিডের কারণে পুরো বিশ্ব থমকে গেলেও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগরে একদিনের জন্য কাজ বন্ধ ছিল না। ২০৪১ সালের মধ্যে এই শিল্পনগরে ৪০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে তার পূরণ হবে বলে আমরা আশাবাদী।
চট্টগ্রামের মীরসরাই ও সীতাকুন্ড উপজেলা এবং ফেনীর সোনাগাজী উপজেলায় বিস্তৃত প্রায় ৩০হাজার একর জমির ওপর গড়ে তোলা হচ্ছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগর। এশিল্পনগরে মাধ্যমে ১৫ লাখ মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।
ইতোমধ্যে বঙ্গবন্ধু শিল্পনগরে ২৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি বিনিয়োগ নিশ্চিত হয়েছে। সরকারী বিভিন্ন সংস্থার সাথে বেজার সুসমন্বয়ের ফলে নির্মিত হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সাথে বঙ্গবন্ধু শিল্পনগরের সংযোগকারী ১০কি.মি. দীর্ঘ সড়কপথ শেখ হাসিনা সরণি, বঙ্গোপসাগরের উপকূল ঘিরে ১৬ কি.মি. দীর্ঘ প্রতিরক্ষাবাঁধ বা সুপারডাইক, প্রতিষ্ঠিত হয়েছে গ্যাস সংযোগ, বিদ্যুৎ সরবরাহের কাজ। এছাড়াও ২১২ একর জমিতে শেখ হাসিনা সরোবর নামে কৃত্রিম জলাধার নির্মাণের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। মাস্টারপ্ল্যান অনুযায়ী এই শিল্প নগরের বিভিন্ন শ্রেণীর আবাসিক এলাকায় কর্মীদের জন্য আবাসন ব্যবস্থা ছাড়াও সর্বসাধারণের বসবাসের জন্য আবাসিক এলাকা নির্মাণ করা হবে। শিল্প নগরে বাণিজ্যিক এলাকা, নগর কেন্দ্র, বিজনেস হাব, মিশ্র বাণিজ্যিক-আবাসিক এলাকা,প্রশাসনিক/প্রাতিষ্ঠানিক এলাকা থাকবে। পুনর্বাসন, বিনোদন, শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য সুবিধা প্রদানের জন্য নির্দিষ্ট এলাকা, একটি সমুদ্র বন্দর ও সংশ্লিষ্ট লজিষ্টিক এলাকা, উন্মুক্ত এলাকা, ম্যানগ্রোভ, পার্ক, মাঠ ও জলাশয়ের জন্য নির্দিষ্ট এলাকা রাখা হয়েছে। বিনোদনের জন্য থাকবে মাঠ,হোটেল, রিসোর্ট, গল্ফ কোর্স, ওয়াটার পার্ক, সিনেমা ইত্যাদি।