নির্মাণের দীর্ঘ ২৭ বছর পর নগরের আগ্রাবাদ বক্স কালভার্টের সংস্কার কাজ শুরু করেছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক)। জানা গেছে, ২ কোটি ৬২ লাখ টাকা ব্যয়ে বাংলাদেশ নৌবাহিনী প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। ১৯৯৪ সালে ৩ দশমিক ২ কিলোমিটারের বক্স কালভার্টটির নির্মাণকাজ শুরু হয়। ৩২ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৯৯৮ সালে বক্স কালভার্টটির নির্মাণ করে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন। নগরের টাইগারপাসের নিচের রেললাইন থেকে মূলত বক্স কালভার্টটি শুরু হয়। এরপর দেওয়ানহাট ফায়ার সার্ভিস হয়ে আগ্রাবাদ বনানী কমপ্লেক্স, বারিক বিল্ডিং হয়ে বন্দরের এক নম্বর জেটিতে গিয়ে কর্ণফুলী নদীর সাথে মিশেছে বক্স কালভার্টটি।১৯৯৪ থেকে ১৯৯৮ পর্যন্ত চার বছরব্যাপী বিশ্বব্যাংকের ঋণে এবং পরিবেশ উন্নয়ন প্রকল্পের অধীনে সেসময় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করে। বলাবাহুল্য কালভার্টটি নির্মাণের পর আর কোনো সংস্কার করা হয়নি। এই কালভার্টের সাথে নাছির খাল ও লাল মিয়া ছড়ার সংযোগ রয়েছে।
২৭ বছর আগে নির্মাণ হওয়া কালভার্টটি আর সংস্কার না করায় সেখানে আবর্জনা জমে শক্ত হয়ে গেছে। বক্স কালভার্টের সম্পূর্ণ কাজ শেষ করতে বাংলাদেশ নৌবাহিনী তিন মাস সময় লাগবে বলে জানিয়েছে। কালভার্টের সংস্কার কাজ শেষ হলে নগরীর আগ্রাবাদ, গোসাইলডাঙ্গা, কমার্স কলেজ, পাঠানটুলী, চৌমুহনী এলাকার বাসিন্দারা জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি পাবেন।
খালের ওপর বক্স কালভার্ট নির্মাণের সময়েও এর কার্যকারিতা, প্রয়োজনীয়তা ও রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে বিশেষজ্ঞরা নানা মত ও পরামর্শ প্রদান করেছিলেন। সে সময় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ অর্থাৎ চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে থেকে বলা হয়েছিল খালটি নিয়মিত পরিষ্কার করার ব্যবস্থা থাকবে। কিন্তু কার্যত তা হয়নি। বর্তমানে এটি পরিষ্কার করার উদ্যোগ নিয়ে সিটি মেয়র একটি প্রশংসনীয় কাজ করেছেন। এটি যথাযথ পরিষ্কার ও রক্ষণাবেক্ষণ করা হলে ওই এলাকায় জলাবদ্ধতা হবে না। আর সড়কের নিচে খালটিও রক্ষা পাবে।