বইয়ের অভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে শিক্ষাকার্যক্রম

শিক্ষাবর্ষের এক মাস পেরিয়ে গেলেও চট্টগ্রামের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের সব শিক্ষার্থী এখনো সব বই পায়নি। এর মধ্যে চতুর্থ, পঞ্চম, সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণির বইয়ের সংকট বেশি। কিছু বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা কোনো বই-ই পায়নি। এতে ব্যাহত হচ্ছে পড়াশোনা।
পত্রিকান্তরে জানা গেল, চট্টগ্রাম জেলায় মাধ্যমিকে এবার বইয়ের চাহিদা ১ কোটি ৭৪ লাখ। মঙ্গলবার পর্যন্ত পাওয়া গেছে ৬২ লাখ বই, অর্থাৎ ১ কোটি ১২ লাখ বই এখনো আসা বাকি। অন্যদিকে জেলায় প্রাথমিকে বইয়ের চাহিদা ৪০ লাখ ৩৪ হাজার ১৯৯টি। এখন পর্যন্ত পাওয়া গেছে ২৪ লাখ ৭৮ হাজার ৪৬০টি। ১৫ লাখ ৫৫ হাজার ৭৫১টি বই এখনো আসেনি। সে হিসাবে প্রাথমিক ও মাধ্যামিক মিলিয়ে মোট ১ কোটি ২৭ লাখ বই আসেনি।
শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, চট্টগ্রামে নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ২৮, মাধ্যমিক বিদ্যালয় রয়েছে ৫৬৬, স্কুল অ্যান্ড কলেজ ৬০টি। জেলায় দাখিল মাদ্রাসা রয়েছে ১২৭, আলিম ৩৬, ফাজিল ৬৪, কামিল ১৯টি। সব মিলিয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ১৬ লাখ ৮৬ হাজার ৯১৪।
বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা বলছেন, বই না পাওয়ায় শিক্ষার্থীরা মনোযোগী হচ্ছে না। কিছু বিষয়ের কোনো ক্লাসই হচ্ছে না। এর মধ্যে রয়েছে ধর্ম, ক্যারিয়ার শিক্ষা, কৃষিশিক্ষা, কর্ম ও জীবনমুখী শিক্ষার মতো বিষয়। তবে বই পাওয়ার পর এসব বিষয় গুরুত্ব নিয়ে পড়ানো হবে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
যেমন নগরের কলেজিয়েট স্কুলের খ্যাতি রয়েছে দেশজুড়ে। এই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২ হাজার ১০০। পঞ্চম থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত নয়টি শ্রেণির শিক্ষার্থীরা তিনটি করে বিষয়ের বই পেয়েছে। বাকি বিষয়ের বই এখনো পাওয়া যায়নি। গতকাল বিদ্যালয়টির দশম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী জানায়, পুরোনো বই ও পিডিএফ থেকে আপাতত পড়ছে সে।
এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে আরও তৎপর হতে হবে। শিক্ষাকে কোনোভাবেই অবহেলা করা যাবে না। গত বছরের জুলাই থেকে আন্দোলনের কারণে শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন ব্যাহত হয়েছে। এ বছর তা পুষিয়ে দিতে হবে। কাজেই সকল শ্রেণির সব বই শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছে দেওয়ার সর্বাত্মক চেষ্টা চালাতে হবে।