সুপ্রভাত ডেস্ক :
ফ্রান্সে চলতি বছর মে মাসে মৃত্যুর হার অন্যান্য বছরের পর্যায়েই ছিল। তবে পরের সপ্তাহগুলিতে করোনাভাইরাসের কারণে মৃতের সংখ্যা বেড়ে যায়। দেশটির জাতীয় পরিসংখ্যান ইনস্টিউট ‘ইনসি’ শুক্রবার এ কথা জানায়।
এতে বলা হয়, ১ মে থেকে ১ জুন পর্যন্ত রেকর্ডকৃত মৃতের সংখ্যা ছিল, ৪৯ হাজার ১৭৮ জন, যা গত বছর এই সময়ের মৃত্যুর হারের তুলনায় ৩ শতাংশ কম এবং ২০১৮ সালের সমান। সরকারি এই অস্থায়ী তথ্যে মৃত্যুর কারণ উল্লেখ করা হয়নি। তবে ইনসি জানিয়েছে, শুধুমাত্র বৃহত্তর প্যারিসের ইলে ডি ফ্রান্স এলাকায় মৃত্যুর সংখ্যা বিগত বছরগুলোর তুলনায় এখনো ‘কিঞ্চিৎ বেশি’।
সরকারি এ তথ্যে গত বছরের সঙ্গে তুলনা করে দেখানো হয়েছে, মে মাসে মোট মৃত্যুর মাত্র শতকরা আট ভাগ হাসপাতালে ভর্তি অবস্থায় হয়েছে, তবে অবসরপ্রাপ্তদের মধ্যে মৃত্যুর হার পাঁচ শতাংশ এবং বাড়িতে মৃত্যু হার সাত শতাংশ বেড়ে যায়।
ইনস্টিটিউট জানায়, ফ্রান্সে ১মার্চ থেকে ১ জুন পর্যন্ত ১ লাখ ৭৮ হাজার, ৭০৬ জনের মৃত্যু হয় যা ২০১৯ সালের তুলনায় শতকরা ১৬ ভাগ (মোট২৫ হাজার ২শ’ জন) বেশি এবং ২০০১৮ সালের তুলনায় শতকরা ১২ ভাগ (১৮হাজার ৫শ’) বেশি।
ওই সময়ে করোনাভাইরাসের কারণে ২৯ হাজার ৩শ’র বেশি মানুষ মারা যায়, যাদের মধ্যে ১০ হাজার ৩শ’র মৃত্যু হয় কেয়ার হোমে।
এখানে মৃতের সংখ্যা অনেক কমে গেলেও ভাইরাস আরারো ফিরে আসার আশঙ্কা রয়েছে বলে সরকার সতর্ক করেছে। যাতে পুণরায় ভাইরাসের বিস্তার না হতে পারে তার জন্য জনসাধারণকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছে দেশটি।