সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক »
কাতার বিশ্বকাপের ফাইনালে টাইব্রেকারে ফ্রান্সকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল আর্জেন্টিনা। যে কারণে গত শুক্রবার রাতে প্যারিস অলিম্পিক ফুটবলের কোয়ার্টার ফাইনালের ম্যাচটি ফরাসিদের জন্য ছিল প্রতিশোধের। অন্যদিকে হাজার হাজার শত্রুভাবাপন্ন ফরাসি দর্শকের সামনে নিজেদের প্রস্তুতির কথা জানিয়েছিল আর্জেন্টিনা। কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না আলবিসেলেস্তাদের। প্রতিশোধের আগুনে পুড়তেই হলো আর্জেন্টিনাকে। ১-০ ব্যবধানের জয়ে আর্জেন্টিনা অনূর্ধ্ব-২৩ দলকে বিদায় করে সেমিফাইনালে উঠে গেছে ফ্রান্স অনূর্ধ্ব-২৩ দল। মাতমুট আটলান্টিকে স্টেডিয়ামে বলের দখল, লক্ষ্যে শট, গোলচেষ্টা সবদিকেই এগিয়ে ছিল আর্জেন্টিনা। তবে ম্যাচের ৫মিনিটে ফ্রান্সের জ্যাঁ ফিলিপে মাতেতার করা গোলটি আর শোধ করতে পারেনি আর্জেন্টিনা। শেষ বাঁশি বাজার সঙ্গে সঙ্গে দুই দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে ধস্তাধস্তির ঘটনাও ঘটে। হাতাহাতির এক পর্যায়ে ফ্রান্সের বদলি খেলোয়াড় এনজো মিলোতকে লালকার্ড দেখান রেফারি। যে কারণে সেমিফাইনালে মিশরের বিপক্ষে ম্যাচটি খেলতে পারবেন না এই ফরাসি মিডফিল্ডার।
এ ম্যাচে মাঠে খেলোয়াড়দের মতো দাঙ্গায় মেতেছিল দর্শকরাও। আক্রমণাত্মক হয়ে উদযাপন করছিলেন ফরাসি দর্শকরা। পরে পুলিশ তাদের নিয়ন্ত্রণ করে। পুলিশের তৈরি বেষ্টনির মাধ্যমে নিরাপদে মাঠ ছাড়েন আর্জেন্টিনার দর্শকরা। শুধু তাই নয়। ম্যাচ শুরুর আগে আর্জেন্টিনার ফুটবলাররা যখন জাতীয় সংগীত গাচ্ছিলেন, তখনও ধুয়ো ধ্বনি দিচ্ছিলেন ফরাসি দর্শকরা। উচ্চশব্দে বাঁশিও বাজিয়েছেন। এর আগে কোপা আমেরিকার ফাইনালে কলম্বিয়াকে হারিয়ে শিরোপা জেতার ফ্রান্সের খেলোয়াড়দের উদ্দেশে বর্ণবাদী আচরণের অভিযোগ ওঠে আর্জেন্টিনার খেলোয়াড়দের বিরুদ্ধে। সেই ঘটনার প্রতিবাদে পাল্টা আর্জেন্টিনাকে নিয়ে মন্তব্য করেন ফরাসি দর্শকরা। তারা মক করে বলতে থাকেন, কোথায় আর্জেন্টাইনরা।
ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে গোলের সম্ভাবনা তৈরি করেছিল আর্জেন্টিনা। তবে প্রত্যাশিত গোলের দেখা পায়নি হ্যাভিয়ের মাসচেরানোর দল। অপরদিকে এই অর্ধের দৃঢ়তায় ম্যাচের ৮৪ মিনিটে আরও একটি গোলের দেখাও পেয়েছিল ফ্রান্স। তবে গোলটি ভিএআর চেকে বাতিল করে দেন রেফারি। ফরাসিদের বিরুদ্ধে ফাউলের সিদ্ধান্ত দেন তিনি। শেষমেশ ১-০ ব্যবধানেই খেলা শেষ হয়। ২০০৪ ও ২০০৮ সালের সোনা জয়ী আর্জেন্টিনাকে বিদায় নিতে হয় সেরা আট থেকেই। খবর জাগোনিউজ’র