বিনোদন ডেস্ক »
ময়দানের যুদ্ধ শেষ হলেও জীবনের যুদ্ধ সর্বদা চলমান। নদীর বাঁকে বাঁকে স্রোত বয়ে যায়। সেই স্রোতের আঘাতে নদীর পার ভাঙে আবার গড়ে। এমন ঘাত-প্রতিঘাতের ভয়ঙ্কর জীবনযুদ্ধের গল্পে একজন আর্মি মেজরের মুক্তিযুদ্ধের পটভূমি নিয়ে তৈরি হচ্ছে সিনেমা ‘যুদ্ধজীবন’।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আক্তার রচিত উপন্যাস অবলম্বনে সিনেমাটি তৈরি হচ্ছে ২০২০-২০২১ অর্থবছরে গণপ্রজাতন্ত্রী সরকারের অনুদানে। ১৯৬৯ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মুক্তির জন্য চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক লালদীঘি ময়দানে যে জনসভা হয়েছিল, সেখানে শিরীণ আখতার বক্তব্য দিয়েছিলেন। তখন তার বয়স ছিল ১৩ বছর।
যুদ্ধজীবন ছবিটির পরিচালক রিফাত মোস্তফা। তিনি চবি উপাচার্য শিরীণ আক্তারের কন্যা। ছবিটিতে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করছে চিত্রনায়ক ফেরদৌস ও অভিনেত্রী নাবিলা বিনতে ইসলাম। সিনেমাটির চিত্রনাট্য ও সংলাপ রচনা করেছেন নিশীথ শামিম। গবেষণা ও কাহিনী রচনা করেছেন মহি মুহাম্মাদ। এছাড়া সহযোগী পরিচালক হিসেবে আছেন শাখাওয়াত শিবলি।
এই সিনেমায় চট্টগ্রামের থিয়েটার বিভিন্ন শিল্পীরা অভিনয় করছেন। মুক্তিযুদ্ধের পটভূমির এই চলচ্চিত্রের প্রেক্ষাপট চট্টগ্রামকেন্দ্রিক। পুরো শুটিংও হচ্ছে চট্টগ্রামের বিভিন্ন লোকেশনে। গত সোমবার থেকে শুটিং শুরু হয়েছে। শুটিং টানা সপ্তাহখানেক চলবে। আগামী নভেম্বরে ফের দ্বিতীয় লটের শুটিং শুরু হবে।
সিনেমা প্রসঙ্গে নির্মাতা রিফাত মোস্তফা টিনা বলেন, ‘যুদ্ধজীবন’ মূলত সত্য ঘটনা, আমার মা অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতারের লেখা গল্প অবলম্বনে তৈরি হচ্ছে। প্রথম লটে আমরা টানা সাত-আট দিন শুটিং করব। আগামী মাসে দ্বিতীয় লটে দশ দিনের শুটিংয়ের মধ্য দিয়ে শেষ হবে দৃশ্য ধারণ। এরপর পোস্ট প্রোডাকশনের কাজ শেষে সিনেমা মুক্তির তারিখ নির্ধারণ করব।
নতুন এই সিনেমা নিয়ে চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ বলেন, এর আগে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময়ের গল্পে নির্মিত দামপাড়া সিনেমার কাজ করেছিলাম চট্টগ্রামে। দ্বিতীয়বারের মতো পুরো কোনো সিনেমার কাজ করছি চট্টগ্রামে। যুদ্ধজীবনের গল্পটা আশির দশক-পরবর্তী সত্য একটি ঘটনা অবলম্বনে। আপাতত গল্পটা শেয়ার করতে পারছি না। এতটুকু বলতে পারি, গল্প, বিষয় আর চরিত্রসংশ্লিষ্ট স্থানেই শুটিং হচ্ছে। কাজটি করতে ভালো লাগছে। সেই সময়টাকে অনুভব করার চেষ্টা করছি।