ডেস্ক রিপোর্ট »
অসংখ্য মানুষের শ্রদ্ধায় ফেনী শহরের মাস্টারপাড়ায় নিজ গৃহ প্রাঙ্গণ মুজিব উদ্যানে চির শায়িত হলেন ফেনী-২ আসনের সাবেক এমপি ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য জয়নাল আবেদীন হাজারী। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বর্ষিয়ান এ আওয়ামী লীগ নেতার দাফন সম্পন্ন হয়।
এর আগে সকাল ১০টায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। শ্রদ্ধা নিবেদনের পর জয়নাল হাজারীকে শেষ বিদায় জানায় ঢাকাবাসী।
এরপর দুপুর আড়াইটার দিকে ফেনী পৌর শহরের মাস্টারপাড়া হাজারী বাড়িতে পৌছায় জয়নাল হাজারীর মরদেহ বহনকারী গাড়ি।
বাদ আসর ফেনী পাইলট হাই স্কুল মাঠে মরহুমের জানাযা জনসমুদ্রে পরিণত হয়। ইমামতি করেন ফেনী জহিরিয়া মসজিদের খতিব মাওলানা মুফতি ইলিয়াস।
এতে বক্তব্য রাখেন- কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জাতীয় সংসদের হুইপ এমপি আবু সাইদ আল মাহমুদ স্বপন। তিনি বলেন, মুজিব রণাঙ্গনের অকুতোভয় সিপাহসালার জয়নাল হাজারী। মন্ত্রী-এমপি অনেকে হতে পারে কিন্তু সবাই গণমানুষের নেতা হতে পারেন না। যদি জয়নাল হাজারীর কর্মী হতে পারতাম তবে নিজেকে ধন্য মনে করতাম।
এসময় আরও বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন, ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারী, ফেনী-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য জয়নাল আবেদীন ভিপি, জেলা প্রশাসক আবু সেলিম মাহমুদ-উল হাসান।
গতকাল সোমবার বিকেলে রাজধানীর ল্যাব হাসপাতালে বীর মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল আবেদীন হাজারীর ইন্তেকাল করেন। একাধিক শারিরীক জটিলতা নিয়ে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন।
দেশব্যাপী আলোচিত এ নেতা ১৯৮৬, ১৯৯১ এবং ১৯৯৬ সালে ফেনী-২ আসন হতে তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। মহান মুক্তিযুদ্ধ পূর্ববর্তীকালে বৃহত্তর নোয়াখালী জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।