নিজস্ব প্রতিবেদক »
আজ পহেলা ফাল্গুন। বসন্তের প্রথম দিন। শীতের পত্রঝড় কাটিয়ে নতুন ফুলে-পাতায় সেজে উঠছে প্রকৃতি। কেবল বসন্ত উৎসব নয়, এদিনে একই সাথে পালিত হচ্ছে বিশ্ব ভালোবাসা দিবসও। ভালোবাসার মানুষকে বিশেষভাবে ভালোবাসার দিন এটি। যেটি পাশ্চাত্যে বহু আগে থেকে পালিত হচ্ছে এবং বাংলাদেশে বিশেষ করে তরুণ-তরুণীদের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। পহেলা ফাল্গুন ও ভালোবাসা দিবসকে কেন্দ্র করে তাই নগরবাসীর মধ্যে প্রস্তুতির কমতি নেই। দুটি উৎসব আয়োজনের অন্যতম অনুষঙ্গই হলো ফুল। প্রিয়জনকে যাই উপহার দিন না কেন, ফুল না দিলে যেন চলেই না। তাই ফুল ব্যবসায়ীদেরও ফুলের চাহিদা অনুযায়ী এ দিনকে কেন্দ্র করে পোহাতে হয় বাড়তি চাপ। নগরীর চেরাগি পাহাড়ের পাদদেশে ফুলের দোকানগুলো তাই ভরে উঠেছে দেশি-বিদেশি ফুলের সম্ভারে।
এসব ফুলের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন জাতের গোলাপ ,গাঁদা, জারবেরা, কার্নিংশান, অর্কিড, গ্ল্যাডিওলাস, রজনীগন্ধা, জিপসি, লিলি, চন্দ্রমল্লিকা। তবে চাহিদা বেশি গোলাপের। প্রতিটি দেশি গোলাপ বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা, ই›িডয়ান গোলাপ ৬০ থেকে ৮০ টাকা, চায়নিজ গোলাপ ১৫০-১৭০ টাকা পর্যন্ত। মেয়েদের মাথার টিয়ারা বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ৪০০ টাকা পর্যন্ত। প্রতিটি বাকেট বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৩০০০ টাকা পর্যন্ত। বাড়তি চাহিদার কারণে অন্যদিনের তুলনায় প্রায় সবগুলো ফুলেরই বেশি দাম হাঁকা হচ্ছে। তবে তাই বলে প্রিয়জনের জন্য ফুল কিনতে পিছপা হচ্ছেন না ক্রেতারা।
এ সম্পর্কে মাহমুদ রশিদ নামের একজন ক্রেতা বলেন, ‘ফুল কিনতে আসলাম প্রিয় মানুষের জন্য। বাঙালির প্রিয় ঋতু বসন্তের প্রথম দিন তো, সেই সাথে ভালোবাসা দিবসও। এ দিনটি প্রিয়জনের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশের আনন্দমাখা। তাই ফুল ছাড়া এসব দিনের সব আয়োজন আসলে ফিকে হয়ে যায়। তাই ফুল নিচ্ছি।’
তৌসিফ উদ্দিন নামের একজন ব্যবসায়ী বলেন , ‘আমরা থাইল্যান্ড থেকে অনেক ফুল এনেছি। দেশিফুলের সাথে সাথে বিদেশি ফুলের চাহিদাও বেশি। তাছাড়া যশোর ও চকরিয়া থেকে প্রচুর ফুল এসেছে। ইতোমধ্যে অনেক ফুল বিক্রিও হয়ে গেছে । আশা করি আশানুরূপ বিক্রি হবে।’ মোহাম্মদ ফারুক নামের অন্য ব্যবসায়ী বলেন, ‘গোলাপের চাহিদা সবচেয়ে বেশি। ভালোবাসা দিবসে এ ফুলের চাহিদা বেশি থাকে। তাই আমরা অনেক গোলাপ এনেছি। আশা করি, সব ফুলই বিক্রি হয়ে যাবে।’
চেরাগি ফুল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জামাল উদ্দিন বলেন, ‘আমরা প্রায় ৬০ লাখের বেশি টাকার ফুল এনেছি এবার। আজ ও কাল মিলিয়ে প্রায় কোটি টাকার কাছাকাছি ফুল বিক্রির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে পুরো দিনের বিক্রির ওপর এটি নির্ভর করছে। এখন পর্যন্ত আমরা ক্রেতাদের ভালোই সাড়া পাচ্ছি।’