সুপ্রভাত ডেস্ক »
বিয়ের কিছু সময় পরই সন্তান ধারণের চেষ্টা করে থাকেন সকলে। এ ক্ষেত্রে বর্তমানে প্রত্যেক দম্পতিই পরিবার পরিকল্পনা করে থাকেন। তবে কারও কারও ক্ষেত্রে সন্তান ধারণে প্রচুর সময় লেগে যায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, বেবি প্ল্যানিং করে থাকলে ফার্টাইল দিন এবং স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখা থেকে শুরু করে কিছু সাপ্লিমেন্ট নেওয়া জরুরি। এর পাশাপাশি ফার্টিলিটির জন্য সমস্ত ধরনের খাবার-দাবার খেতে হয়। গবেষণার মাধ্যমে ডায়েট ও ফার্টিলিটির মধ্যে একটি বিশেষ সম্পর্ক খুঁজে পাওয়া গিয়েছে। ন্যাশনাল সেন্টার ফর বায়োটেকনোলজি ইনফরমেশনে প্রকাশিত একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, ‘আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট, গোটা শস্য, সবজি, মাছ মহিলা ও পুরুষের ফার্টিলিটিকে উন্নত করে। আবার অ্যালকোহল, ক্যাফিন, স্যাচুরেটেড ফ্যাট এবং চিনি মহিলা এবং পুরুষের দুর্বল ফার্টিলিটির সঙ্গে জড়িত।’
বিশেষজ্ঞরা ফার্টিলিটি উন্নত করার কিছু খাবার সম্পর্কে জানিয়েছেন।
টাটকা ফল ও সবজি
বিট, শিমলা লঙ্কার মতো টাটকা সবজি ফার্টিলিটি বাড়াতে সাহায্য করে। টক ফল ও সবুজ শাক সবজিতে ফলিক অ্যাসিড পাওয়া যায়। এই ফল ও সবজিগুলি ফার্টিলিটি বৃদ্ধির পাশাপাশি ভ্রুণের বিকাশ ঘটায়। এগুলি খেলে স্ট্রেস দূর হয়, যা গর্ভধারণের জন্য অত্যন্ত জরুরি।
ড্রাই ফ্রুট
সন্তান ধারণে সচেষ্ট থাকলে প্রথম দিন থেকেই স্বামী-স্ত্রীকে শুকনো ফল খাওয়া উচিত। কারণ শুকনো ফল অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ। এগুলি আবার রিঅ্যাক্টিভ অক্সিজেন স্পিসিস কেমিক্যালকে কম করে। এই কেমিক্যাল ডিম্বাণু ও বীর্যের সঙ্গে যুক্ত হয়ে তাদের নষ্ট করে দেয়। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরে রিঅ্যাক্টিভ অক্সিজেন স্পিসিস কেমিক্যালের পরিমাণ কম করে।
প্রোটিনের পরিমাণ বৃদ্ধি করুন
বিশেষজ্ঞদের মতে, শীঘ্র সন্তান ধারনের জন্য নিজের খাদ্যতালিকায় প্রোটিনের পরিমাণ বৃদ্ধি করতে হবে। এর জন্য অঙ্কুরিত মুগ, সোয়াবিন, পনির, ডাল, বিনস, ডিমের সাদা অংশ, মাছ ও মুরগির মাংস খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।
অল্প অল্প খাবার খান
ইনফার্টিলিটির সমস্যা থাকলে ওজন কমানোর পরামর্শ দেওয়া হয়। ৫ শতাংশ ওজন কম করলেও ওভুলেশন সাইকেল উন্নত হয়। তাই দিনে তিন বার বেশি বেশি খাওয়ার পরিবর্তে অল্প অল্প করে দিনে ৫ থেকে ৬ বার খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎকরা।