সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক :
প্রথম সেমিফাইনালে আর্জেন্টিনার দিয়েগো সোয়ার্তজম্যানকে হারিয়ে ফাইনাল আগেই নিশ্চিত করেছিলেন রাফায়েল নাদাল। ফাইনালে রাফা বনাম জোকার, এমন প্রতীক্ষাতেই প্রহর গুনছিলেন টেনিস অনুরাগীরা। অনুরাগীদের নিরাশ করলেন না দ্বিতীয় সেমিফাইনালে স্তেফানোস সিৎসিপাসের মুখোমুখি হওয়া নোভাক জোকোভিচ। গ্রীক তারকাকে হারিয়ে রবিবাসরীয় ফরাসি ওপেনের ফাইনালে জায়গা করে নিলেন সার্বিয়ান টেনিস মায়েস্ত্রো।
তবে নাদালের মতো স্ট্রেট সেটে সহজ জয় আসেনি জোকোভিচের। বরং পাঁচ সেটের ম্যারাথন লড়াইয়ের পর ফাইনালের টিকিট পেলেন ২০১৬ ফরাসি ওপেন জয়ী। ৩ ঘন্টা ৫৪ মিনিটের দীর্ঘ লড়াইয়ের পর এদিন ২৭তম গ্র্যান্ড স্ল্যাম ফাইনালে পৌঁছলেন জোকোভিচ। তবে কোয়ার্টার ফাইনালে কাঁধের সমস্যায় ভুগতে থাকা সার্বিয়ান তারকা প্রথম দু’টি সেট জেতার পর মনে হয়নি ম্যাচ এমন পর্যায়ে পৌঁছতে পারে। তৃতীয় এবং চতুর্থ সেট জিতে দারুণ প্রত্যাঘাত ছুঁড়ে দেন সিৎসিপাস। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। জোকোভিচের পক্ষে শেষ পর্যন্ত ম্যাচের ফল ৬-৩, ৬-২, ৫-৭, ৪-৬, ৬-১।
প্রথম দু’টি সেটে জোকোভিচের সার্ভিস ব্রেক করে এগোতে পারেননি গ্রীক তারকা। ম্যাচ শুরুর প্রথম গেমে ০-৪০ পিছিতে পড়া জোকোভিচ সবক’টি ব্রেক পয়েন্ট সেভ করে গেম জিতে নেন। এরপর প্রথম সেটে শাসন করেন তিনিই। একই ছবি দ্বিতীয় সেটে। ৬-৩ প্রথম সেট জয়ের পর দ্বিতীয় সেটে মাত্র দু’টি গেম হাতছাড়া করেন ‘জোকার’। প্রথম দু’টো সেটে যা পারেননি তৃতীয় সেটে সেটাই করে দেখান সিৎসিপাস। ৫-৪ এগিয়ে থেকে ম্যাচের জন্য সার্ভ করেন জোকোভিচ। ম্যাচ পয়েন্ট রক্ষা করে ঘুরে দাঁড়ান গ্রীক তারকা। ম্যাচে প্রথমবারের জন্য জোকোভিচের সার্ভিস ব্রেক করেন তিনি।
এরপর ঠান্ডা মাথায় নিজের সার্ভে ৬-৫ লিড নেন তিনি। তারপর আরও একবার জোকোভিচকে ব্রেক করে তৃতীয় সেট নিজের নামে করেন সিৎসিপাস। চতুর্থ সেটে ০-২ পিছিয়ে পড়া জোকোভিচ সমতায় ফিরলেও নিজেকে আরও একবার উৎকর্ষ হিসেবে প্রতিপন্ন করেন সিৎসিপাস। ব্রেক পয়েন্ট সংগ্রহে ব্যর্থ জোকোভিচকে ৬-৪ পরাস্ত করে ম্যাচে সমতা ফিরিয়ে আনেন ২২ বছরের তারকা। ১১টির মধ্যে ১০টি ব্রেক পয়েন্ট রক্ষা করে সিৎসিপাস নির্ণায়ক সেটে নিয়ে যান ম্যাচ। কিন্তু পঞ্চম সেটে ফের অন্য জোকোভিচ।
প্রতিদ্বন্দ্বীকে কোনওরকম সুযোগ না দিয়ে ৬-১ ব্যবধানে নির্ণায়ক সেট দখল নিয়ে নেন সার্বিয়ান তারকা। একইসঙ্গে পঞ্চমবার ফরাসি ওপেনের ফাইনাল নিশ্চিত হয় তার। ২০১৬ নাদালকে হারিয়েই রোলা গ্যারোঁয় প্রথম খেতাব জিতেছিলেন জোকার। এরপর প্রথমবারের জন্য লাল সুড়কির কোর্টে ফাইনালে উঠলেন তিনি। খবর : কলকাতাটোয়েন্টিফোর’র।
খেলা