নিজস্ব প্রতিনিধি, ফটিকছড়ি »
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং এর প্রভাবে বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়ায় বড় দুর্ঘটনা না হলেও কৃষকের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ঝড়ো হাওয়ায় সদ্য গজিয়ে উঠা আমন ধান ও রবি ফসলের চারা গাছ মাটিতে নুয়ে পড়েছে। এতে বড় ধরনের লোকসানে পড়ার আশঙ্কা কৃষকদের।
কৃষকেরা জানান, সোমবার সকাল থেকে ফটিকছড়িতে টানা বৃষ্টি শুরু হয়। মাঝেমধ্যে বৃষ্টির সঙ্গে চলে দমকা হাওয়া। কখনো গুঁড়ি গুঁড়ি, কখনো প্রবলবেগে বৃষ্টি হয়। এতে আমন ও রবি ফসলের চারা গাছ পানিতে নুয়ে পড়েছে। নিম্মাঞ্চলে আমনসহ রবি ফসলের ক্ষেত পানিতে তলিয়ে গেছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ঝড়ো হাওয়া আর বৃষ্টির পানিতে মাঠঘাট তলিয়ে গেছে। ডুবে গেছে আমন ধান। অনেক এলাকায় ধানগাছ মাটিতে নুয়ে পড়েছে। দুই একটা ছাড়া প্রায় সব ক্ষেতের ধানই মাটিতে হেলে পড়েছে।
উপজেলার নারায়ণহাট এলাকায়ও আমন ধানের চারা নুয়ে পড়েছে। সেখানে কথা হয় আমনচাষি মো. সেলিম উদ্দিনের সঙ্গে। তিনি জানান, ‘গতকাল রাতে দমকা হাওয়াতে আমন ধান মাটিতে পড়ে গেছে। এতে কয়েক দিনের মধ্যেই পোকায় আক্রমণ করবে। ফলে ধান চিটা হয়ে যাবে।
হেয়াকো এলাকার কৃষক নুরুল আলম জানান, ঝড়ো হাওয়াতে আমার জমিনের সব ধান ক্ষেতে পড়ে গেছে। অনেক ক্ষতির মুখে পড়েছি। এমনিতে আমন রোপণে বাড়তি খরচ হয়েছে এর মধ্যে এ সমস্যা।
ফটিকছড়ি উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলার ১৮টি ইউনিয়ন ও ২ পৌরসভায় ২১ হাজার ৩ শত ৯০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন আবাদ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা গত ২০২০-২১ সালে অর্জিত লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২১ হাজার ৩ শত ৫০ হেক্টর। চলতি আমনের মৌসুমে ব্রি ধান-৪৯ বেশি আবাদ করা হয়েছে। যা প্রায় ৭ হাজার ৪ শ’ ৫০ হেক্টর জমি। এবারও রোপা আমনের বাম্পার ফলন হবে বলে কৃষকরা আশা করলেও নিরাশ করেছে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং। ফলে ক্ষতির মুখে পড়বে অনেক কৃষক।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা কে বি এম ওমর ফারুক তুহিন বলেন, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং এর প্রভাবে ঝড়ো হাওয়ায় আমন ধান মাটিতে পড়ে গেছে। যার মধ্যে ৫০ হেক্টর আমন ধান ও ৭০ হেক্টর সবজির আংশিক জমিতে ক্ষতি হয়েছে।