সুপ্রভাত ডেস্ক »
বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ড তাদের রেকর্ড রান করেছিল। ৪০২ রানের লক্ষ্যে নেমে পাকিস্তানও জয়ের জন্যই খেলছিল। ফখর জামানের বিস্ফোরক ইনিংস সেই কথাই বলছিল। তবে এত বেশি রান তাড়া করে জেতার রেকর্ড না থাকায় নিউজিল্যান্ড বিজয়ের স্বপ্নই দেখছিল। কিন্তু বাধ সাধে বৃষ্টি। তাতে আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের সুফল পায় পাকিস্তান। দ্বিতীয় দফায় বৃষ্টি নামার পর আর খেলাই হয়নি। ডাকওয়ার্থ লুইস মেথডে পাকিস্তান তখন এগিয়ে ছিল ২১ রানে। নিউজিল্যান্ডকে হতাশায় ভাসিয়ে বৃষ্টি বিজয়ীর মুকুট পরায় পাকিস্তানকে।
রাচিন রবীন্দ্রর একাধিক রেকর্ড গড়া কীর্তি ব্যর্থতায় ম্লান হয়ে যাওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছিল ২২তম ওভারে নামা বৃষ্টিতে। স্থানীয় সময় বিকাল পাঁচটার দিকে বৃষ্টি নামার আগে পাকিস্তান ২১.৩ ওভারে করে ফেলে ১৬০ রান, মাত্র এক উইকেট হারিয়ে। ওই সময় ডিএলএস মেথডে ১০ রানে এগিয়ে ছিল পাকিস্তান। নিউজিল্যান্ড তাদের বিশ্বকাপ ইতিহাসে সর্বোচ্চ রান করার পর বৃষ্টি তাদের পরাজয়ের চোখ রাঙানি দিচ্ছিল। তবে তারা এক ঘণ্টা পর ভালো খবর পায়। আবার শুরু হয় খেলা। কাটঅফ করা হয় পাকিস্তানের ইনিংস, ৪১ ওভারে তাদের লক্ষ্য দাঁড়ায় ৩৪২ রান। খবর বাংলাট্রিবিউনের।
ক্রিজে থাকা বাবর ও ফখর বুঝতে পারছিলেন, আবার বৃষ্টি নামতে পারে। তাই আরেক দফা ঝড় তোলেন তারা। ২৬তম ওভারের তৃতীয় বলে বৃষ্টি নামার সময় পাকিস্তানের স্কোর ২০০। আর খেলা হয়নি।
৪০২ রানের লক্ষ্যে নেমে পাকিস্তানের শুরুটা ভালো হয়নি। দ্বিতীয় ওভারে আব্দুল্লাহ শফিককে হারায় তারা। টিম সাউদি তাকে ৪ রানে ফেরান। কেন উইলিয়ামসন দুর্দান্ত ক্যাচ নেন।
এরপর ক্রিজে আধিপত্য করেন বাবর ও ফখর। ৩৯ বলে ফিফটি করা ফখর দ্রুত তিন অঙ্কের ঘরে পৌঁছে যান। ৬৩ বলে বিশ্বকাপে পাকিস্তানের দ্রুততম সেঞ্চুরিয়ান হয়েছেন তিনি। ম্যাচ শেষে এই ওপেনার ৮১ বলে ৮ চার ও ১১ ছয়ে ১২৬ রানে অপরাজিত। বাবর ৬৬ রানে খেলছিলেন।
এর আগে ব্যাটিংয়ে নেমে রাচিনের তৃতীয় বিশ্বকাপ সেঞ্চুরিতে রান পাহাড় গড়ে নিউজিল্যান্ড। বিশ্বকাপ অভিষেকে সর্বোচ্চ সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েন তিনি। বিশ্বমঞ্চে সর্বাধিক সেঞ্চুরি করা নিউজিল্যান্ডের ব্যাটারও তিনি। তাছাড়া ২৫ বছরে পা দেওয়ার আগেই বিশ্বকাপে তিনটি সেঞ্চুরির কীর্তিতে শচীন টেন্ডুলকারকে ছুঁয়েছেন রাচিন। তবে তার এই প্রচেষ্টা বৃথা গেলো বৃষ্টি আইনের মারপ্যাচে। বিশ্বকাপে টানা চতুর্থ ম্যাচ হারলো গতবারের রানার্সআপরা।
৮ ম্যাচ শেষে নিউজিল্যান্ড ও পাকিস্তানের পয়েন্ট সমান। দুই দলই ৮ পয়েন্ট করে পেলেও নেট রান রেটে এগিয়ে থেকে সেমিফাইনালের শেষ স্থান চার নম্বরে। পাকিস্তান পেছনে ফেলেছে এক ম্যাচ কম খেলে সমান ৮ পয়েন্ট পাওয়া আফগানিস্তানকে।