সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক »
বিদায় অনেকটাই নিশ্চিত ছিল। তবে শেষ তিন ম্যাচের সবকটা জিতলে কাগজে কলমে সম্ভাবনা বেঁচে থাকতো সিলেট স্ট্রাইকার্সের। সেই সম্ভাবনাও শেষ হলো ফরচুন বরিশালের কাছে হেরে। দুর্দান্ত ঢাকার পর দ্বিতীয় দল হিসেবে এবারের বিপিএল থেকে বিদায় নিয়েছে সিলেট স্ট্রাইকার্স। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে গতকাল (শনিবার) তারা বরিশালের কাছে হেরেছে ১৮ রানে। ১৮৪ রানের বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৪০ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে বসেছিল সিলেট। সেখান থেকে অবিশ্বাস্যভাবে ম্যাচ জমিয়ে তোলে তারা। ৩ উইকেট হাতে রেখে শেষ ওভারে দরকার পড়ে ২৩ রান। পারেনি সিলেট। এই জয়ে প্লে-অফের পথে অনেকটাই এগিয়ে গেছে বরিশাল। ম্যাচসেরা কাইল মায়ার্সের হাতে প্রাইজমানি তুলে দেন ইস্পাহানি গ্রুপের পরিচালক মির্জা আলী ইস্পাহানি ও বিসিবি’র পরিচালক আ জ ম নাছিরউদ্দিন। ১০ ম্যাচে ৬ জয়ে তাদের পয়েন্ট ১২। খুলনা টাইগার্স আর চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের পয়েন্ট ১০ করে। তিন দলেরই দুটি করে ম্যাচ বাকি। বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দলের খাতায় কোনো রান যোগ না করেই ফিরে যান হ্যারি টেক্টর আর নাজমুল হোসেন শান্ত। দুজনই হন কাইল মায়ার্সের শিকার। জাকির হাসানও (৫) আরেকবার ব্যর্থ। এরপর একে একে সাজঘরে ফেরেন মোহাম্মদ মিঠুন (৬ বলে ১০), অ্যাঞ্জেলো পেরেরা (১৫ বলে ১৭), রায়ান বার্ল (৩)। ৪০ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে বলতে গেলে ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়ে সিলেট। সেখান থেকে আরিফুল হক আর বেনি হাওয়েলের অবিশ্বাস্য প্রচেষ্টা। ৫২ বলে ১০৮ রানের জুটিতে বরিশালের হাত থেকে ম্যাচ প্রায় বের করে নিচ্ছিলেন তারা। ১৯তম ওভারে ম্যাকয় ফেরান আরিফুলকে। ৩১ বলে ৫ চার আর ৪ ছক্কায় এই অলরাউন্ডার করেন ৫৭ রান। বেনি হাওয়েল শেষ ওভার পর্যন্ত উইকেটে ছিলেন। তাই জয়ের আশা ছিল সিলেটের। কিন্তু ২০তম ওভারের দ্বিতীয় বলে সাইফউদ্দিনের বলে বাউন্ডারিতে ক্যাচ দেন হাওয়েল (৩২ বলে ৫৩)। ম্যাচটা হেরে যায় সিলেট। ৮ উইকেটে থামে ১৬৫ রানে।
এর আগে মুশফিকুর রহিম ও কাইল মায়ার্সের দুর্দান্ত জুটিতে বড় সংগ্রহ পেয়েছে ফরচুন বরিশাল। মুশফিকের ঝড়ো ফিফটিতে ৬ উইকেটে ১৮৩ রান করে তামিম ইকবালের দল। টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই আগ্রাসী হয়ে খেলেন দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও আহমেদ শেহজাদ। তবে বেশিক্ষণ টিকে থেকে খেলতে পারেননি তারা।
তামিম ১৯ রানে আর আহমেদ ১১ বলে ১৭ রান করে ফেরত যান। ভালো করতে পারেননি সৌম্য সরকারও। ৮ বলে ৮ রান করে আউট হয়ে যান তিনি। এরপরেই মূলত, খেলার পরিস্থিতি বদলে দেন মুশফিকুর রহিম ও কাইল মায়ার্স। ঝড়ো ব্যাটিং করে ৪৮ বলে ৮৪ রানের দুর্দান্ত জুটি করেন তারা। তবে এদিন ২ রানের আক্ষেপ নিয়ে ফিরতে হয়েছে মায়ার্সকে। ৩০ বলে ৪৮ রানের মাথায় লেগসাইডে ছক্কা হাঁকাতে গেলে বল গ্লাভসে লাগে এই বাঁহাতি ব্যাটারের। এতে লেগবিহাইন্ড অঞ্চলে ক্যাচ হন তিনি। মায়ার্স ফিফটির আক্ষেপে পুড়লেও মুশফিক ঠিকই ফিফটি করে ফেলেন।
ডানহাতি এই ব্যাটারের ইনিংস থামে ৩২ বলে ৫২ রানে গিয়ে। অপ্রত্যাশিত রানআউটের আগে ৩ চার আর ৩টি ছক্কা হাঁকান তিনি। শেষ দিকে পুঁজি বাড়াতে অবদান রাখেন মেহেদী হাসান মিরাজ ও মাহমুদুল্লাহ। ১২ বলে ১২ রান করেন মাহমুদুল্লাহ। ৭ বলে ১৫ রান আসে মিরাজের ব্যাট থেকে। এতেই বরিশালের স্কোরকার্ডে লেখা হয় ১৮৩ রান।