উইলিয়াম শেক্সপিয়র পাঠ্য থেকে পাঠাগারে পরিণত হয়েছেন। প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির ইংরেজি বিভাগের মাসিক সাহিত্য সেমিনার এখন ডিজিটাল ফোরামে চালু হয়েছে। সম্প্রতি ‘জুম’ অনলাইন মিডিয়ামে এই অনলাইন সেমিনার বা ওয়েবিনার সিরিজের উদ্বোধন এবং সভাপতিত্ব করেন ইংরেজি বিভাগের চেয়ারম্যান সাদাত জামান খান।
ওয়েবিনার সিরিজের প্রথম পর্বে প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির কলা ও সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন ও ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহীত উল আলম তাঁর ‘অন এডিটিং আ শেক্সপিরিয়ান টেক্সট : ফ্রম দ্য সেভেনটিনথ সেঞ্চুরি টু দ্য পোস্ট-মডার্নটাইম’ শীর্ষক প্রবন্ধটি নিয়ে আলোচনা করেন।
সহকারী অধ্যাপক শহীদুল আলম চৌধুরী ও প্রভাষক দুহিতা চৌধুরীর সঞ্চালনায় এই পর্বে ড. মোহীত উল আলম তাঁর আলোচনায় বলেন, শেক্সপিয়রের নাটকের সম্পাদনা এক প্রকারের ‘প্যারাটেক্সটুয়াল’ বৈশিষ্ট্যকে প্রশ্রয় দেয়। সপ্তদশ শতক থেকে শুরু করে সমসাময়িক কাল পর্যন্ত বিভিন্ন সম্পাদক উইলিয়াম শেক্সপিয়রের নাটককে তাঁদের কাল ও সমাজের ছাঁচে ফেলার প্রয়াস দেখিয়েছেন। এতে করে উইলিয়াম শেক্সপিয়র নিজেই পাঠ্য থেকে পাঠাগারে পরিণত হয়েছেন।
ড. মোহীত উল আলম আরো বলেন, শেক্সপিয়র কোন ‘প্রজেক্ট’ না যে তাঁকে পড়ে বা গবেষণা করে শেষ করা যাবে। বরং শেক্সপিয়র একটি চলমান প্রক্রিয়ার নাম যাকে আবিষ্কার করার এখনো রয়েছে বাকি।
ড. মোহীত উল আলম মন্তব্য করেন, শেক্সপিয়রকে বিশদভাবে এবং পরিপূর্ণভাবে পাঠ করলেই তাঁর ভাষা, যতি এবং বাক্য সম্পর্কে জানা যাবে। এমনকি সম্পাদকের সংযোজনও ভিন্নভাবে বোঝার উপায়ই হলো শেক্সপিয়রের মূল লেখা পাঠ করা।
উল্লেখ্য, অধ্যাপক ড. মোহীত উল আলম নিজেও শেক্সপিয়রের বিভিন্ন নাটক সম্পাদনা করেছেন। তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল হ্যামলেট, যা সম্পাদনাকালে তিনি শেক্সপিয়র বিশারদ হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক স্টিফেন গ্রীনব্ল্যাটের সঙ্গে সরাসরি সাক্ষাত করেছিলেন।
ওয়েবিনার সিরিজের প্রথম পর্বে ইংরেজি বিভাগের সকল শিক্ষক-শিক্ষিকাসহ দেশ-বিদেশের আরও অনেক সাহিত্য পিপাসুদের উপস্থিতি ও অংশগ্রহণ ছিল।
আরো উপস্থিত ছিলেন নেপালের শেক্সপিয়র বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. সংগীতা রায়ামাঝি এবং প্রখ্যাত গবেষক ও অধ্যাপক ড. অরুণ গুপ্ত। আলোচনা শেষে ছিল প্রশ্নোত্তর পর্ব। শেষে সভাপতি সাদাত জামান খান সকলের উদ্দেশ্যে শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করে ওয়েবিনার সিরিজের প্রথম পর্বের ইতি টানেন। বিজ্ঞপ্তি
মহানগর