জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের প্রতিবেদন অনুযায়ী, চট্টগ্রামের ১৫ উপজেলায় প্রাণী হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অনুমোদিত পদসংখ্যা ১৬৫। এর মধ্যে কর্মরত আছেন ১১০ জন। পদ শূন্য রয়েছে ৫২টি। ড্রেসারের ১৫টি পদে কর্মরত আছেন মাত্র তিনজন। হাসপাতালগুলোতে শুধু চিকিৎসা দেওয়া হয় না পাশাপাশি প্রশিক্ষণ, খামার স্থাপনে কারিগরি সহায়তা, জাত উন্নয়নে গরু-মহিষের কৃত্রিম প্রজনন, গবাদিপশু ও পোলট্রির টিকাও দেওয়া হয়।
পত্রিকা সূত্রে জানা গেছে, সীতাকুণ্ড, সন্দ্বীপ, হাটহাজারী, লোহাগাড়া, সাতকানিয়া, কর্ণফুলী ও আনোয়ারা উপজেলার সরকারি প্রাণী হাসপাতালে কোনো চিকিৎসক (ভেটেরিনারি সার্জন) নেই। অন্যদিকে ফটিকছড়ি ও মিরসরাইয়ে গত মে মাসে প্রাণিচিকিৎসক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আট মাস থেকে চার বছর পর্যন্ত পদগুলো খালি।
চিকিৎসক না থাকার বিষয়ে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. রেয়াজুল ও প্রশাসন শাখার পরিচালক মলয় কুমার শূর পত্রিকাকে বলেন, বিসিএস থেকে চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়া হয়। নিয়োগপ্রক্রিয়া সময়সাপেক্ষ হওয়ার কারণে দেখা যায়, একবার নিয়োগ দিতে দিতে আবার পদ খালি হয়ে যাচ্ছে। কেউ পদোন্নতি নিয়ে চলে যাচ্ছেন। ফলে খালি হয়ে যাচ্ছে এসব পদ। তবে শিগগির এসব উপজেলায় চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়া হবে। তখন আর সংকট থাকবে না।
প্রাণিজ খাদ্য উৎপাদন, প্রক্রিয়াকরণ ও বণ্টন-প্রক্রিয়া অন্যান্য খাতের চেয়ে ভিন্ন ও জটিল। এ প্রক্রিয়া সমন্বিতভাবে গড়ে তুলতে না পারলে জনস্বাস্থ্যের ঝুঁকি অনেক বেড়ে যাবে। নতুন রোগ উদ্ভবের সৃষ্টি হবে। এর ফলে শিল্পটি হুমকির মুখে পড়বে। কোনো ফাঁকফোকর থাকলে মারাত্মক রোগ ও ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকে। তাই এ খাতের উন্নয়নের ক্ষেত্রে এ খাতের সঙ্গে জড়িত সব পক্ষকে একত্রে সমন্বিত হয়ে কাজ করতে হবে।
প্রাণিসম্পদ খাতকে আরও উন্নত করে তোলার জন্য সরকারের যথেষ্ট আগ্রহ ও প্রচেষ্টা রয়েছে। এর সঙ্গে কৃষক ও খামারিদের অবদানও কম নয়। সরকারের এই প্রচেষ্টা সবাই মিলে সম্মিলিত কর্মপরিকল্পনার মাধ্যমে এগিয়ে নিতে হবে। এরজন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো একেবারে প্রত্যন্ত এলাকায় পর্যন্ত চিকিৎসাসেবা পৌঁছে দেওয়া। প্রয়োজনে খবরদারি আরও বাড়াতে হবে। ইতিমধ্যে প্রাণিসম্পদ উন্নয়নে বাংলাদেশ যে অগ্রগতি অর্জন করেছে তা ব্যাহত করা যাবে না।
এ মুহূর্তের সংবাদ