প্রয়োজনে আরও ২ হাজার জন শহীদ হবো: হান্নান মাসউদ

সুপ্রভাত ডেস্ক

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদদের রক্তের সঙ্গে বেঈমানি করে রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলে কেউ কেউ আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক আব্দুল হান্নান মাসউদ।

শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শহীদ মোহাম্মদ হাসানের জানাজা ও কফিন মিছিল শেষে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত রাজপথে থাকার ঘোষণা দেন তিনি। হাসান হত্যায় জড়িতদের বিচারের দাবি জানান স্বজন ও শহীদ পরিবারের সদস্যরা।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক আব্দুল হান্নান মাসউদ অভিযোগ করেন, শহীদ পরিবারের বুকফাটা আর্তনাদের শেষ না হলেও রাজনৈতিক স্বার্থে আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের চেষ্টা করছে কেউ কেউ।

তিনি বলেন, রাজনীতিতে ব্যবহারের জন্য আবারও আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের চেষ্টা চলছে। কোনো অপশক্তি হীন স্বার্থ চরিতার্থ করতে আওয়ামী লীগকে যদি আবারও বাংলাদেশের রাজনীতিতে আনার প্রচেষ্টা চালায়, হয়তোবা এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে গিয়ে আমরা আরও দুই হাজার জন শহীদ হবো। তবু আওয়ামী লীগকে কোনোভাবে বাংলাদেশের রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠিত হতে দেবো না।

জুলাই গণহত্যায় আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনার সম্পৃক্ততা আন্তর্জাতিকভাবেও প্রমাণিত হয়েছে, জানিয়ে দলটি নিষিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত রাজপথ না ছাড়ার ঘোষণা দেন হান্নান মাসউদ।
 
জানা যায়, ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে শহীদ হন তরুণ ব্যবসায়ী মোহাম্মদ হাসান। তার সন্ধানে গত সাত মাস ধরে দুয়ারে দুয়ারে ছুটেছেন পরিবারের সদস্যরা। অবশেষে ঢাকা মেডিকেলের মর্গে সন্ধান মেলে মরদেহের। ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে মরদেহ শনাক্তের পর শুক্রবার তা স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
 
পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে আনা হয় শহীদ হাসানের মরদেহ। সেখানেই অনুষ্ঠিত হয় প্রথম নামাজে জানাজা।
এ সময় কান্নায় ভেঙে পড়েন স্বজনরা। ছেলে হত্যার বিচার দাবি করেন বাবা মনির হোসেন।
 
তিনি বলেন, আমার ছেলেসহ ২৪ এর আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন তাদের হত্যার বিচার করতে হবে। এরসঙ্গে জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় আনতে হবে। একইসঙ্গে আন্দোলনের শহীদদের রাষ্ট্রীয় মর্যাদা প্রদান এবং তালিকাভুক্ত করারও দাবি জানান তিনি।