সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক
মালয়েশিয়ায় অনুষ্ঠেয় আইসিসি কমনওয়েলথ গেমস-২০২২ এর নারী ক্রিকেটের বাছাইপর্ব খেলতে গত ৮ জানুয়ারি দেশ ছেড়েছে বাংলাদেশ নারী জাতীয় ক্রিকেট দল। শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে সেই দলে রাখা হয়নি জাতীয় নারী ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক জাহানারা আলমকে। তাকে রাখা হয় স্ট্যান্ডবাই তালিকায়।
জাহানারা কীভাবে শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছেন, সে ব্যাপারে খোলামেলা কিছুই জানায়নি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
তবে মালয়েশিয়া সফরের আগেই বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরী সুজনকে লিখিতভাবে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে অভিযোগ করেছেন জাহানারা। চিঠিতে দলের কোচ একেএম মাহমুদুল ইমন ও নির্বাচক মঞ্জুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে কিছু খেলোয়াড়ের প্রতি পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ করেছেন জাহানারা। তিনি অভিযোগ করেছেন- সিনিয়র খেলোয়াড় হওয়া সত্ত্বেও তাকে দলে কম গুরুত্ব দেওয়া হয়।
মঙ্গলবার এ নিয়েই মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের বিসিবি কার্যালয়ে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছেন নারী উইংয়ের প্রধান শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল।
সংবাদমাধ্যমকে নাদেল জানান, তার কাছে এমন কিছু প্রমাণ আছে যা প্রকাশ করলে লজ্জায় পড়বেন জাহানারা। নাদেল বলছিলেন,‘আমার কাছে কিছু প্রমাণ আছে। যা আমি আপনাদের দেখাতে চাই না, দেখালে আপনারাই লজ্জা পাবেন। এখানে পক্ষ-বিপক্ষের বিষয় নেই। আমরা স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় যেতে চাই। তারা আমাদের সন্তানতুল্য, ছোট ভাই, ছোট বোনের মতো। তাদের চলার পথে কিছু ভুলভ্রান্তি থাকতেই পারে। সেটা অভিভাবকসুলভ মনোভাব দিয়ে সংশোধন করার দায়িত্ব আমাদের।’
তিনি বলেছেন, আমি আপনাদের সবার সহযোগিতা চাই। অনেক বিষয় থাকে, যা সামনে আনলে আমাদের পুরো ক্রিকেটের, নারী ক্রিকেটের ক্ষতি হয়। এমন বিষয় আমি এড়িয়ে যেতে চাই।
বিসিবির এই পরিচালক আরো বলেন, বিসিবি বিষয়টি সমাধানে অভিভাবকসুলভ মনোভাবই দেখাবে। বোর্ড, ম্যানেজমেন্ট, সংগঠক- আমাদের মাঝে তারা (খেলোয়াড়রা) সন্তানের মতো। তারা আমাদের ছোট বোনের মতো, ছোট ভাইয়ের মতো। চলার পথে তাদের কিছু ভুলভ্রান্তি থাকতেই পারে। সেটা সংশোধনের জন্য আমরা সহনশীল ও অভিভাবকসুলভ মনোভাব দেখাব।
তিনি আরো বলেন, যার (বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরী) কাছে অভিযোগ করা হয়েছে, উনি বলেছেন- বিষয়টা দায়িত্ব নিয়ে দেখবেন। আশা করি উনি বিষয়টা সুরাহা করে দেবেন। যদি আমাদের কিছু করতে হয়, সেটাও আমরা করব।