নিজস্ব প্রতিবেদক »
তিন দফা দাবিতে জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীরা অনির্দিষ্টকালের জন্য ডিপো থেকে তেল উত্তোলন, পরিবহন ও বিক্রি বন্ধের ঘোষণা দিলেও নগরীর তেলের ডিপো, ফিলিং স্টেশন ও বিক্রয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে কোন প্রভাব পড়েনি। চলেছে জ্বালানি তেল কেনাবেচা। গতকাল পেট্রোল পাম্প মালিক সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব মো. মিজানুর রহমান রতন স্বাক্ষরিত এক নোটিশের মাধ্যমে ধর্মঘটের বিষয়টি নিশ্চিত করেছিলেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, নগরীর কর্ণফুলী থানাধীন ক্রসিং আমিন উল্লাহ ট্রেডিং করপোরেশন ফিলিং স্টেশন, মইজ্জারটেক এলাকার ফিলিং স্টেশন ও বাকলিয়ার মীর ফিলিং স্টেশন, কোতোয়ালির লালদীঘি এলাকার কিউ সি ট্রেডিং লিমিটেডে জ্বালানি তেল অকটেন, ডিজেল ও পেট্রোল বিক্রি করতে দেখা যায়। কর্ণফুলীর ১৫ নম্বর ঘাট, মইজ্জারটেক ও কর্ণফুলীর পাড়ের ঘাটকেন্দ্রিক তেলের পাইকারি দোকানগুলোতেও জ্বালানি তেল বিক্রি হয়েছে। সরবরাহের গাড়িগুলোও অন্যান্য দিনের মতো স্বাভাবিক ছিল বলে জানান ফিলিং স্টেশনের একাধিক কর্মকর্তা। বলা যায়- পেট্রোল পাম্প মালিক সমিতির ঘোষিত এ ধর্মঘটের কোন প্রভাব পড়েনি নগরীতে। তাছাড়া দূরপাল্লার যাত্রীবাহী যানবাহন ও মালামাল পরিবহনকৃত গাড়িও অন্যান্য দিনের মতো চলাচল করেছে। তেল কিনতে গিয়ে কোন ধরনের ভোগান্তিতেও পড়েননি দূরপাল্লার বাস ও ট্রাক চালকরা।
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার সড়কের সৌদিয়ার বাসচালক মো. জসিম বলেন, আমরা শুনেছিলাম আজ (রোববার) থেকে ফিলিং স্টেশন বন্ধ থাকবে। যার কারণে গতরাতেই তেল নিয়েছি। সকালে দেখি তার কোন প্রভাব পড়েনি। কোতোয়ালি এলাকার বাইক রাইডার মো. রবিউল বলেন, আমি বাইকে যাত্রী বহন করি। সকাল থেকে দু’বার তেল নিলাম।
খাতুনগঞ্জের মালবাহী ট্রাকচালক মো. তারেক বলেন, যশোর থেকে মাল নিয়ে আসলাম। পথে ফিলিং স্টেশনগুলোতে তেল কিনতে গিয়ে কোন ভোগান্তির হয়নি।
বাকলিয়া এলাকার মীর ফিলিং স্টেশনের ম্যানেজার বলেন, ‘আমরা কর্তৃপক্ষ থেকে বন্ধের কোন নির্দেশ পাইনি। সকাল থেকে আমাদের তেল বিক্রি চলছে এবং জ্বালানি তেল সরবরাহও স্বাভাবিক রয়েছে।
এ কর্মকর্তার মতো একই কথা বলেন নগরীর অন্যান্য ফিলিং স্টেশনের একাধিক কর্মকর্তাও।
উল্লেখ্য, পেট্রোল পাম্প মালিক সমিতির তিন দফা দাবিগুলো হলো- জ্বালানি তেল বিক্রির ওপর প্রচলিত কমিশন কমপক্ষে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ করা, জ্বালানি তেল পরিবহনকারী ট্যাংকলরির অর্থনৈতিক জীবনকাল ৫০ বছর করা ও জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীরা কমিশন এজেন্ট বিধায় প্রতিশ্রুতি মোতাবেক সুস্পষ্ট গেজেট প্রকাশ করা। সরকার অনুমোদিত পরিবেশকদের নিয়মিত জ্বালানি তেল সরবরাহ করে বিপিসির অধীন থাকা তিন রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানি পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা। এ জ্বালানি তেল কিনে নিয়ে পরিবেশকেরা নিজস্ব পেট্রলপাম্প থেকে ডিজেল, পেট্রোল ও অকটেন বিক্রি করে গ্রাহকের কাছে।