প্রবাসীদের জন্য বিশেষ পেনশন স্কিম চালু করতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক প্রশাসক এবং চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন। ১৭ অক্টোবর সকালে বঙ্গবন্ধু পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটি’র নেতৃবৃন্দ সুজনের সাথে সাক্ষাত করতে গেলে তিনি প্রধানমন্ত্রীর নিকট এ অনুরোধ জানান। সাক্ষাতে বঙ্গবন্ধু পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির নেতৃবৃন্দ প্রবাসীদের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে সুজনের সাথে মতবিনিময় করেন।
এসব সমস্যা নিরসনে সুজনের সহযোগিতা করেন। এর আগে নেতৃবৃন্দ বিদেশগামী কর্মীদের টিকা প্রদান, বিমানবন্দরে পিসিআর ল্যাব স্থাপন, প্রবাসীদের ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদান, বিশেষ ফ্লাইট চালু, বিমানের অতিরিক্ত ভাড়া কমানোসহ প্রবাসীদের বিভিন্ন সমস্যা নিরসনে তাদের পাশে থাকায় ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। এসময় সুজন বলেন, প্রবাসীদের মাঝে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক প্রবাসী মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে চাকরি এবং ব্যবসা বাণিজ্যের মাধ্যমে অর্থনীতির চাকাকে সচল রেখে চলেছেন। কিন্তু একটি নির্দিষ্ট সময় শেষে তাদেরকে চাকুরি এবং ব্যবসা বাণিজ্য শেষে স্বদেশে ফিরে আসতে হয়। তারা সেসব দেশগুলোতে স্থায়ীভাবে কিছু করার সুযোগ পায়না। অন্যদিকে ইউরোপের দেশগুলোতে যে সকল প্রবাসী থাকে তারা চাকুরি এবং ব্যবসা বাণিজ্যের পাশাপাশি সেদেশে স্থায়ীভাবে বসবাসের সুযোগ পান। যা একজন মধ্যপ্রাচ্য প্রবাসীর জন্য অসম্ভব। ফলে দীর্ঘসময় প্রবাস জীবন অতিবাহিত করে দেশে আসলেও তারা কোন প্রকার কাজের সাথে সম্পৃক্ত হতে পারেন না। জীবনের শেষ সময়টুকু অনেকের অনাদরে কাটে। পরিবার পরিজনের নিকট তারা বোঝা হয়ে যায়। তিনি আরো বলেন, বিদেশে অবস্থানরত দূতাবাসগুলো হচ্ছে প্রবাসীদের সুখ দুঃখের ঠিকানা। কিন্তু অধিকাংশ সময় দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা প্রবাসীদের সাথে খারাপ আচরন করে থাকে। প্রবাসীদের আকামা নবায়ন, পাসপোর্ট নবায়নসহ বিভিন্ন জটিলতা দূরীকরণে দূতাবাসগুলো প্রবাসীদের নানারকম ভোগান্তিতে ফেলে। দূতাবাসের দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের আরো মানবিক হয়ে প্রবাসীদের সমস্যাগুলো সমাধান করার অনুরোধ জানান তিনি। তাছাড়া একজন প্রবাসী বিদেশ থেকে দেশে আসলে বিমানবন্দরে তাকে নানা ধরণের ঝক্কি ঝামেলা পোহাতে হয়। অনেক ক্ষেত্রে তাদের সাথে চোরের মতো আচরণ করা হয়ে থাকে। এমনকি মাঝে মাঝে প্রবাসীদের শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করে বিমানবন্দরের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তাব্যক্তিরা। তাই ভিআইপি এবং সিআইপিদের মতো প্রবাসীদের জন্যও দেশের প্রতিটি বিমানবন্দরে আলাদা কাউন্টার রাখার অনুরোধ জানান সুজন। যাতে করে একজন প্রবাসী দেশে আসলে সম্মানের সাথে বিমানবন্দর থেকে বের হয়ে তার গন্তব্যে পৌঁছতে পারে। এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটি’র সভাপতি ইফতেখার হোসেন বাবুল, সহ-সভাপতি মো. জামশেদুল আলম, যুগ্ম-সম্পাদক সেলিম আনসারী, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ মো. আলাউদ্দিন, ক্রীড়া সম্পাদক রিয়াদ বিন রাজু, মোরশেদ আলম, মো. বাবলু প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি
মহানগর