নিজস্ব প্রতিবেদক »
বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় উৎসব প্রবারণা পূর্ণিমা রোববার। ফানুসের আলোয় জ্বলমল করবে আকাশ। চট্টগ্রামসহ সারাদেশে অষ্টপরিষ্কার দান, সংঘদান, ফানুস উত্তোলনসহ নানা উৎসবমুখর পরিবেশে দিনটি উদযাপন করা হবে।
ইতোমধ্যে চট্টগ্রামে সকল প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। তবে কোন প্রকার নিরাপত্তার সংশয় দেখছে না বৌদ্ধ সংগঠনগুলো। ওইদিন প্রবারণার সাথে পালিত হবে ঈদে মিলাদুন্নবী।
সম্মলিত প্রবারণা পূর্ণিমা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক স্বপন কুমার বড়–য়া বলেন, একই দিনে দুই ধর্মীয় উৎসব। তবে কোন প্রকার সংশয় দেখছি না। আমাদের সাথে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)’র মত বিনিময় সভা হয়েছে। যথাযথ নিরাপত্তা দিয়ে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন। ওই দিন বিকেল পাঁচটা থেকে বোস ব্রাদার্স, এনায়েত বাজার, লাভ লেইন এবং চেরাগীর প্রবেশ মুখ ব্লক করা হবে। এসময় কোনপ্রকার যানবাহন চলাচল করতে দেওয়া হবে না।
তিনি আরও বলেন, করোনার কারণে দু’বছর সীমিতভাবে প্রবারণা পালিত হয়েছে। এখন করোনার প্রকোপ কমেছে। তাই এবার দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি থাকা সত্ত্বেও উৎসবের আয়োজনে প্রভাব পড়েনি। করোনার আগের মতোই নির্বিশেষে ফানুস উত্তোলনের উৎসব পালিত হবে। এবার চট্টগ্রাম বৌদ্ধ মন্দিরে প্রায় ১৮ সংগঠনের হাজার দুয়েক ফানুস উত্তোলন হবে।
অগ্রদূত বৌদ্ধ সংগঠনের সভাপতি প্রত্যয় বড়–য়া বলেন, প্রবারণা আমাদের বৌদ্ধের অন্যতম একটি উৎসব, এই উৎসবে আমরা বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা হাসি আনন্দে মেতে উঠি, যেহেতু ২০২০-২১ সালে করোনা মহামারির কারণে প্রবারণা ভালোভাবে উদযাপন হয়নি। এবার উৎসবমুখর পরিবেশে দিনটি পালন করবো। নিরাপত্তা নিয়ে সংশয়ের কোন কিছু দেখছি না। আশা করি সুন্দর করে দিনটি পলিত হবে।
নিরাপত্তার প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার মো. শামসুল হক বলেন, সর্বাত্মক সহোযোগিতা করা হবে। তিন স্তরের নিরাপত্তা বজায় থাকবে। ইতোমধ্যে সাদা পোশাকের নিরাপত্তা কর্মী মাঠে নেমেছে। যেখানে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটবে তৎক্ষণাৎ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, সকাল থেকে চট্টগ্রামের বেশ কয়েকটি বৌদ্ধ মন্দিরে প্রবারণার কর্মসূচি শুরু হবে। চট্টগ্রাম বৌদ্ধ বিহারে সংঘদান, ফানুস উৎসর্গ, পঞ্চশীল প্রদান, দুপুরে ধর্মীয় দেশনা, ভাবনা এবং সন্ধ্যায় ফানুস উত্তোলন হবে। এসময় শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, সিএমপি কমিশনার কৃষ্ণপদ রায়সহ আরও অনেকে উপস্থিত থাকবেন।