‘চট্টগ্রামের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী যেসব প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছেন তাতে আন্তর্জাতিকভাবে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বলসহ সারা দেশের অর্থনৈতিক কার্যক্রম আরো গতিশীল হবে। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। কোন অপশক্তি উন্নয়নের ধারাকে নস্যাৎ করতে পারবে না। শেখ হাসিনার আন্তরিকতার প্রতি চট্টগ্রামবাসী কৃতজ্ঞ। এই কৃতজ্ঞতার প্রকাশ ঘটবে ৪ ডিসেম্বরের পলোগ্রাউন্ডের জনসভায়।’
বুধবার বিকেলে নগর মহিলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে ৪ ডিসেম্বর পলোগ্রাউন্ড মাঠের জনসভা সফল করার লক্ষ্যে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি একথা বলেন।
নগর মহিলা আওয়ামী লীগ সভাপতি হাসিনা মহিউদ্দিনের সভাপতিত্বে প্রধান বক্তা ছিলেন সিটি মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. রেজাউল কমির চৌধুরী। এতে আরো বক্তব্য রাখেন সংরক্ষিত কাউন্সিলর নীলু নাগ, নগর মহিলা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি মমতাজ খান, ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোর্শেদ আলম। আরও উপস্থিত ছিলেন চসিক সংরক্ষিত কাউন্সিলর হুরে আরা বিউটি, তসলিমা নুরজাহান রুবি, শাহীন আক্তার রুজি, আনজুমান আরা, সেলিম উদ্দিন, মালেকা চৌধুরী, হাসিনা আক্তার টুনু, জোহরা বেগম, কান্তা ইসলাম মিনু, জেনিফা ইসলাম, ফারজানা শিরিন মুন্নি, আফরোজা, শারমীন ফারুক, রোকসানা আক্তার, কামরুন নাহার বেবী, জেবুন নেসা চৌধুরী, পায়রা বেগম, আয়েশা আলম, আায়েশা সিদ্দিকা, মনোয়ারা বেগম মনি, ঝর্না বড়ুয়া, লায়লা এটলী, সীমা আক্তার, শবনম ফেরদৌস, ময়না আক্তার, হাফিজা হেলাল, নাছিমা আক্তার, অভি, শিল্পী বসাক, সোমা দাশ, সুপ্তিতলা পাএ, লায়লা বাহাদুর, লাভলী বেগম, ফারহানা জাবেদ প্রমুখ।
প্রধান বক্তার বক্তব্যে সিটি মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধু টানেল নির্মাণের ফলে চট্টগ্রামের গুরুত্ব বিশেষ করে নগরীর গুরুত্ব অনেক বেড়ে যাবে। নগরীতে জনসংখ্যার আধিক্যের কারণে নগর সম্প্রসারণের যে পরিকল্পনার ছিল তা সুগম হলো এই টানেলের মাধ্যমে।
কর্ণফুলীর দক্ষিণ তীরে নগর সম্প্রসারণ হলে চট্টগ্রাম নগর ওয়ান সিটি টু টাউনে রূপান্তর করতে সামর্থ হবে। তিনি ৪ ডিসেম্বরের জনসভায় চসিকের পক্ষ থেকে যে প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে, তাতে করে যতই লোক সমাগম হোক না কেন কোন সমস্যা হবে না বলে উল্লেখ করে বলেন, মাঠের প্রবেশ মুখসমূহ, স্টেডিয়াম থেকে বের হয়ে সিআরবি হয়ে পলোগ্রাউন্ড সড়ক ও সন্নিহিত এলাকা সিসি ক্যামেরার আওতায় আনায়ন, সমাবেশের দিন মাঠে জেনারেটর স্থাপন করে সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিতকরণ, সমাবেশে আগত কর্মীদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসার জন্য ডাক্তার ও চিকিৎসাকর্মীদের নিয়ে দু’টি মেডিক্যাল ক্যাম্প স্থাপন ও দু’টি অ্যাম্বুলেন্সের সংস্থান করা হয়, নগরীর গুরত্বপূর্ণ রাস্তাসমূহের সড়কবাতি মেরামত ও সংযোজন, বিশেষ করে মাঠের চারপাশে ও সন্নিহিত এলাকায় ফ্লাইড লাইট দ্বারা আলোকায়ন করা হয়েছে।
সভাপতির বক্তব্যে হাসিনা মহিউদ্দিন বলেন, প্রধানমন্ত্রীর চট্টগ্রামের উন্নয়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে জনসভায় আসবেন। তিনি বলেন, বিএনপি লোক ভাড়া করে বিভাগীয় জনসভা করেছে। কারণ তাদের প্রতি দেশের মানুষের কোন সমর্থন নেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত চৌদ্দ বছরে দেশকে উন্নয়নে উচ্চমাত্রায় নিয়ে গেছেন। এতে বিএনপি’র গাত্রদাহ হচ্ছে। তাদের আমলে জঙ্গিবাদের কারণে বিশে^র কাছে বাংলাদেশ আতঙ্কের নাম ছিল। এ দেশকে শেখ হাসিনা শান্তি-সমৃদ্ধি-উন্নয়নের অগ্রগতির রোল মডেলে পরিণত করেছেন। তিনি ৪ ডিসেম্বরের মা-বোনদের নিজ উদ্যোগে পলোগ্রাউন্ডের জনসভায় যোগদান করে সফল করার আহ্বান জানান। বিজ্ঞপ্তি