প্রথম ম্যাচে টাইগারদের কাছে পাত্তাই পেল না পাকিস্তান

টি-টোয়েন্টি সিরিজ

সুপ্র্রভাত স্পোর্টস ডেস্ক »

লংকার বিরুদ্ধে সদ্য সিরিজ জয়ী বাংলাদেশ শক্ত প্রতিপক্ষ পাকিস্তানের সাথে উড়ন্ত সূচনা করেছে। মিরপুরে গতকাল (রোববার) তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে প্রথম ম্যাচে ব্যাটে-বলে-ফিল্ডিংয়ে সমান পারফর্ম করে টাইগাররা ৭ উইকেটের দাপুটে এক জয় তুলে নিয়েছে। পাকিস্তানের ১১০ রানকে পারভেজ হোসেন ইমনের হার না মানা ৩৯ বলে অনবদ্য ৫৬ রানের সুবাদে ১৫.৩ ওভারেই ৭ উইকেট হাতে রেখে পাড়ি দিতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ। জবাব দিতে নেমে শুরুটা তেমন ভালো হয়নি লিটনদের। ছন্দে থাকা ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম এদিন ফিরেছেন ৪ বলে ১ রান করে। প্রথম ওভারেই দলের ২ রানের মাথাতে বিদায় নেন তানজিদ। পরের ওভারে ফিরেছেন ফর্মে থাকা অধিনায়ক লিটন দাসও। ৪ বলে ১ রান করেন লিটনও। ৭ রানের মধ্যে ২ উইকেট হাওয়া বাংলাদেশের। ধ্বংসস্তূপ থেকে দলকে টেনে তোলার অভিযানে নামেন টিকে থাকা ম্যাচসেরা ও ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন এবং চারে নামা তাওহিদ হৃদয়। দেখেশুনে ব্যাট চালিয়েছেন দুজন। অযথা ঝুঁকি নেননি। তেড়েফুঁড়ে মারতে গিয়ে উইকেট বিলিয়ে দিয়েও আসেননি। ফলে দলও পায় শক্ত ভীত। দুজনের কার্যকরী ব্যাটিংয়ে পাওয়ারপ্লের ৬ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ৩৮ রান তোলে বাংলাদেশ। সুযোগ বুঝে দেখেশুনে খেলেছেন হৃদয় এবং ইমন। দুজনের ব্যাটে চড়ে এগোতে থাকে বাংলাদেশ। উইকেটের চারপাশে দারুণ সব শটে রান তুলেছেন ইমন-হৃদয়। বের করেছেন সিঙ্গেল, ভালোভাবেই করেছেন স্ট্রাইক রোটেশন। ক্রিজে সেট হয়ে যান দুজন। পাকিস্তানের বোলারদের সামলে দলকে জয়ের পথে এগিয়ে নিয়ে যান ইমন-হৃদয়। ৩য় উইকেটে দুজন মিলে তুলেছেন ৭৩ রান, ৬১ বলে। ৩৭ বলে ৩৬ রান করা হৃদয় থামেন দলের ৮০ রানের মাথাতে। ইমন টিকে ছিলেন। চলে যান ফিফটির খুব কাছে। পরে ছুঁয়েছেনও ফিফটি।
দলকে জিতিয়েই মাঠ ছেড়েছেন ইমন। জয়সূচক চার আসে জাকের আলী অনিকের ব্যাট থেকে। ২৭ বল হাতে রেখে ৭ উইকেটের জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ। চট্টগ্রাম লিগে ইস্পাহানি ক্রিকেট একাডেমিতে হাতেখড়ি নেয়া নোয়াখালীর ছেলে ইমন ৩৯ বলে ৫৬ রান করে অপরাজিত ছিলেন। সতীর্থ জাকের অপরাজিত ছিলেন ১০ বলে ১৫ রান করে। পাকিস্তানের হয়ে ২ উইকেট শিকার করেন সালমান মির্জা। ১ উইকেট নেন আব্বাস আফ্রিদি। এর আগে প্রথম ব্যাট করতে নেমে স্বাগতিক বোলারদের দাপটে ১১০ রানে থামতে হয় পাকিস্তানকে। মিরপুরের শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে একের পর এক উইকেট হারিয়েছে তারা। দলের ১৮ রানের মাথাতে ৪ বলে ৬ রান করা সাইম আইয়ুবকে দিয়ে শুরু। সাইমকে ফেরান তাসকিন আহমেদ। এরপর একে একে সাজঘরে ফিরে যান মোহাম্মদ হারিস, সালমান আলী আঘা, হাসান নওয়াজ। পাওয়ারপ্লের মধ্যে ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলে পাকিস্তান। তখন স্কোরবোর্ডে রান ছিল ৪১। পাওয়ারপ্লে শেষে আউট হন মোহাম্মদ নওয়াজ। ৫ বলে ৩ রান করেন নওয়াজ। ৪৬ রানের মধ্যে হাওয়া ৫ উইকেট। শুরুর ৬ ব্যাটারের মধ্যে দুই অঙ্ক ছুঁয়েছেন কেবল টিকে থাকা ওপেনার ফখর জামান। এক প্রান্ত আগলে রেখে খেলেছেন ফখর। ৩৪ বলে ৪৪ রান করে দলের ৭০ রানের মাথাতে থামেন ফখর জামান। শেষ দিকে ২৩ বলে ১৭ রানের ইনিংস খেলেছেন খুশদিল শাহ। আব্বাস আফ্রিদিও ঝড়ের আভাস দিয়েছেন। তবে ২৪ বলে ২২ রান করে শেষ ব্যাটার হিসেবে আউট হন তিনি। ১৯.৩ ওভার শেষে ১১০ রানে গুটিয়ে যায় পাকিস্তানের ইনিংস। বাংলাদেশের তাসকিন ২২ রানে ৩ ও মুস্তাফিজুর রহমান ৬ রানে ২ উইকেট শিকার করেন। তানজিম হাসান সাকিব ২০ ও এবং শেখ মেহেদী হাসান ৩৭ রানে নেন ১টি করে উইকেট। তিনজন হয়েছেন রান আউটের শিকার। আগামীকাল সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে।