নিজস্ব প্রতিবেদক :
করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতির প্রায় ৫ মাস পর গতকাল থেকে চট্টগ্রামসহ সারাদেশে স্টেশন কাউন্টারে আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। তবে যাত্রীর সংখ্যা ছিল কম।
রেল পূর্বাঞ্চল সূত্র জানায়, গতকাল বুধবার সকাল ৮টা থেকে কাউন্টারে শুরু হয় টিকিট বিক্রি। কর্মকর্তারা জানান, কাউন্টারে টিকিট বিক্রির সিদ্ধান্তের বিষয়টি যাত্রী সাধারণ অবগত না থাকায় চট্টগ্রাম রেলস্টেশনে ভিড় ছিল খুব কম। অধিকাংশ কাউন্টার ছিল ফাঁকা। ফলে চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে যাওয়া আন্তঃনগর ট্রেনগুলোয় যাত্রী ছিল নগণ্য। প্রায় প্রতিটি ট্রেন যাত্রী সংকটে পড়ে।
সূত্রটি জানায়, শতভাগ টিকিটের মধ্যে ৫০ শতাংশ কাউন্টারে এবং ৫০ শতাংশ অনলাইনে পাওয়া যাচ্ছে। তবে প্রথম দিনে এ দুটি মাধ্যমে টিকিট বিক্রি হয়েছে ৬০ শতাংশেরও কম। সকাল ৭টায় চট্টগ্রাম থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া সুবর্ণ এক্সপ্রেসে ৮৯৯টি আসন থাকলেও যাত্রীশূন্য ছিল ৪৬৬টি। একই অবস্থা ছিল সকাল ৯টায় সিলেটের উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া পাহাড়িকা, বিকাল ৫টা ২০ মিনিটে চাঁদপুরের উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া মেঘনা এবং সকাল সাড়ে ৮টায় ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া চট্টলা এক্সপ্রেস ও বিকাল ৫টায় সোনার বাংলা ট্রেনে।
পাহাড়িকা ট্রেনে ৬২৬টি আসনের মধ্যে ফাঁকা ছিল ২৪৭টি, মেঘনা এক্সপ্রেসে ৯২৯টি আসনের মধ্যে ফাঁকা ছিল ২৬৪টি, সোনার বাংলা ট্রেনে ৫৮৪টি আসনের ফাঁকা ছিল ২৯০টি এবং চট্টলা এক্সপ্রেসে ৫৭৯টি আসনের ফাঁকা ছিল ১০৪টি।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা আনসার আলী জানান, বুধবার থেকে কাউন্টারে টিকিট বিক্রি শুরু হওয়ার খবর অনেকেই জানতেন না। বিশেষ করে যারা স্মার্টফোন ব্যবহার করতে জানেন না তারা কাউন্টারে টিকিট বিক্রির খবর জানেন না। তাই আজ প্রথম দিন কাউন্টার ফাঁকা ছিল। টিকিট বিক্রিও কম।