সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক :
কেমন হবে করোনা পরবর্তী ক্রিকেট? তা নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। ক্রিকেটরদের সুরক্ষার কথা ভেবে নতুন কিছু নিয়মকানুনও চালু করছে আইসিসি। আর দীর্ঘদিন মাঠের বাইরে থাকার পর বাইশ গজে নামার আগে কড়া পরীক্ষার মুখে যে ক্রিকেটারদের পড়তে হবে, তা বলাই বাহুল্য। পরিস্থিতিটা মেনে নিয়েছেন মুহাম্মদ শামি। তাই বলছেন, নতুন করে মাঠে নামার জন্য সবরকম পরীক্ষার জন্য তিনি প্রস্তুত। এমনকী কোভিড-১৯ টেস্টেরও পক্ষে তিনি।
বল চকচকে করার জন্য থুতুর ব্যবহার নিষিদ্ধ। পরস্পরের সঙ্গে হাততালি দিয়ে সেলিব্রেশনও করা যাবে না। আগামিদিনে এমনই নানা নিয়ম মেনে চলতে হবে ক্রিকেটারদের। সমস্যা হবে, কিন্তু মহামারি থেকে সুরক্ষিত থাকতে সবকিছুই মেনে নিতে হবে। একটি সর্বভারতীয় চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ভারতীয় পেসার বলেন, ‘জানি, মাঠে বেশ কঠিন পরিস্থিতিতে পড়তে হবে। বলে থুতুর ব্যবহার করা যাবে না। সেলিব্রেশন আর দর্শকদের জন্যও চালু হচ্ছে নতুন নিয়ম। দেখুন, আমরা যখন জানি সামাজিক দূরত্ব মেনে একটা বড় সংকটের সঙ্গে লড়াই করতে হবে, তখন এই সমস্ত গাইডলাইন মেনে চলতেই হবে।’
একই সঙ্গে দাবি, সিরিজ শুরুর আগে প্রত্যেক ক্রিকেটারেরই করোনা পরীক্ষা হওয়া উচিত। শামির কথায়, ‘আমরা একটা পরিবারের মতো দল বেঁধে ঐক্যবদ্ধভাবে ম্যাচ খেলি। তাই আমার মনে হয় প্রত্যেকটা সিরিজের আগে আমাদের করোনা টেস্ট হলে সকলে ক্লিন চিট পেয়ে নিশ্চিন্তে খেলতে পারব। এতে একে অপরের কাছে যেতে ভয়ও পাব না। ইতস্ততও করতে হবে না। আমার মনে হয় সবার জন্যই এটা ভাল হবে।’
স্বরাষ্টমন্ত্রক জানিয়ে দিয়েছে, ক্রীড়া স্টেডিয়াম খুললেও আপাতত দর্শকশূন্য মাঠেই হবে খেলা। এ প্রসঙ্গে শামির প্রতিক্রিয়া, ‘কোনও ম্যাচে সমর্থকরা প্রচুর মোটিভেট করে। তাদের সমর্থন উৎসাহ দেয়। কিন্তু যদি দর্শকশূন্য ম্যাচ করাটাই গুরুত্বপূর্ণ হয়, তাহলে মনে হয় না এ বিষয়ে কারও কোনও আপত্তি থাকবে। তবে সামাজিক দূরত্ব মেনে বসিয়ে, মাস্ক-গ্লাভস বাধ্যতামূলক করেও মাঠে সমর্থকদের ফেরানো যেতে পারে।’
খবর : কলকাতাটোয়েন্টিফোর’র।
খেলা