নগরীর চশমা হিলের বাসভবনে গতকাল দুপুরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিপার্টমেন্ট অফ ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন বিভাগের ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শারীরিক প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী মো. ইয়াসিন খন্দকার ইমনের হাতে উচ্চ কনফিগারেশনের ল্যাপটপ প্রদান করেছেন শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।
কিছুদিন পূর্বে শিক্ষার্থী মো. ইয়াসিন খন্দকার ইমনের দিনমজুর পিতা মো. হারুন শিক্ষা উপমন্ত্রীা কাছে জানান তার ছেলে অত্যন্ত মেধাবী। প্রতিবন্ধী হয়েও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে। সে ল্যাপটপে গ্রাফিক্স কাজ শিখে আউটসোর্সিং করতে চাই, ল্যাপটপ কিনতে ৮০ হাজার টাকার প্রয়োজন যা তার দিনমজুর বাবার পক্ষে দেওয়া কোন ভাবেই সম্ভব নয়। সেদিন উপমন্ত্রী প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তাকে উচ্চ কনফিগারেশনের ল্যাপটপ দেবেন। গতকাল ল্যাপটপ প্রদানের মাধ্যমে তিনি তার প্রতিশ্রুতি পূর্ণ করলেন এবং ভবিষ্যতেও পাশে থাকবেন বলে জানান।
ল্যাপটপ প্রদানকালে ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, প্রতিবন্ধীরা সমাজের বোঝা নয়, দেশের সম্পদ। প্রয়োজন শুধু একটু মমতা, একটু ভালোবাসার। বাংলাদেশকে এমনই এক বাস্তবতার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুল।
সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের নেতৃত্বে বাংলাদেশে অটিজম আন্দোলনের ফলে অনেক অটিস্টিক শিশু মূলধারায় ফিরে আসছে। অসহায় পিতামাতা হতাশা কাটিয়ে পাচ্ছে উৎসাহ, সাহস আর আশ্রয়। বিশ্বে অসংখ্য উদাহরণ রয়েছে যেখানে অটিস্টিক শিশুদের মধ্য থেকে তৈরি হয়েছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব। বাংলাদেশের শিশুরা সে পথেই হাঁটছে।
শিক্ষা উপমন্ত্রী আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে যে স্মার্ট বাংলাদেশে রুপান্তরের ভিশন নিয়েছেন সেই ভিশন বাস্তবায়নে মো. ইয়াসিন খন্দকার ইমন একজন দক্ষ গ্রাফিক্স ডিজাইনার হয়ে এবং অন্যান্য প্রতিবন্ধীরাও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
ল্যাপটপ প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক কাউন্সিলর জহর লাল হাজারী, শিক্ষার্থীর পিতা মো. হারুন। বিজ্ঞপ্তি