পোল্ট্রি ব্যবসায়ী-খামারিদের বিনা জামানতে ঋণ সুবিধাসহ ৭ দাবি

ছবি : সংগৃহীত

সুপ্রভাত ডেস্ক »

পোল্ট্রি ব্যবসায়ী ও খামারিদের বাংলাদেশের সব ব্যাংক থেকে বিনা জামানতে ঋণ সুবিধা প্রদানসহ ৭ দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএ)।
সোমবার (১৯ আগস্ট) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) নসরুল হামিদ মিলনায়তনে বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএ) আয়োজিত পোল্ট্রি ফিড মিল হ্যাচারিগুলোতে অভিযান চালিয়ে মুরগির বাচ্চার দাম স্থির ও পোল্ট্রি ফিডের দাম কমানোর দাবিতে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি তুলে ধরেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খন্দকার।
সংবাদ সম্মেলনে বিপিএ’র সভাপতি সুমন হাওলাদার বলেন, বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএ) দীর্ঘদিন ধরে প্রান্তিক পোল্ট্রি খামারিদের নিয়ে কাজ করে আসছে। ডিম ও মুরগির বাজারে স্বস্তি রাখার চেষ্টা করছে করপোরেট গ্রুপের সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কথা বলেছি। বৈষম্যবিরোধী ছাত্রসমাজ ও ভোক্তা অধিদফতরের যৌথ বাজার মনিটরিং করাকে আমরা সাধুবাদ জানাই।
তিনি বলেন, ভারতে ১ কেজি ফিডের দাম ৪০ টাকা থেকে ৫০ টাকা, ১টি মুরগির বাচ্চার দাম ২৫ টাকা থেকে ৩৫ টাকা, ১টি ডিমের উৎপাদন খরচ ৫ টাকা, ১ কেজি ব্রয়লার মুরগির উৎপাদন খরচ ৭৬ থেকে ৮৬ টাকা। কিন্তু বর্তমানে ডিম ও মুরগির উৎপাদন খরচ প্রতিবেশী দেশের তুলনায় আমাদের দেশে দ্বিগুণ। এখন উৎপাদন খরচের বিপরীতে প্রতি কেজি মুরগিতে ৪০ থেকে ৬০ টাকা পর্যন্ত লোকসান গুনতে হচ্ছে, ন্যায্য মূল্য না পেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে প্রান্তিক খামারিদের খামার বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।
এসময় প্রান্তিক খামারিদের উৎপাদন টিকিয়ে রাখতে ও ভোক্তা সাধারণ যেন ন্যায্য মূল্যে ডিম ও মাংস কিনতে পারে, সে লক্ষ্যে ৭ দফা দাবি তুলে ধরেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খন্দকার। তাদের দাবিগুলো হলো: পোল্ট্রি ব্যবসায়ী ও খামারিকে বাংলাদেশের সব ব্যাংককে বিনা জামানতে ঋণ সুবিধা প্রদান করতে হবে; একদিন বয়সের সব ধরনের মুরগির বাচ্চার সর্বোচ্চ খুরচা মূল্য ৩০ থেকে ৫০ টাকার মধ্যে রাখতে হবে; সব প্রকার পোল্টি ফিডের ৫০ কেজি বস্তার মূল্য ২৫০০-৩০০০ টাকার মধ্যে রাখতে হবে; করপোরেট গ্রুপকে কন্টাক্ট ফার্মিং, ডিম ও মুরগির বাণিজ্যিক উৎপাদন বন্ধ করতে হবে; সব পোল্ট্রি ব্যবসায়ী ও খামারিকে প্রাণিসম্পদ দফতর কর্তৃক আইডি কার্ড করে দিতে হবে। যার মাধ্যমে সব প্রকার সরকারি সুবিধা প্রধান করা হবে; সরকারিভাবে বাণিজ্যিক ফিড মিল ও বাচ্চা উৎপাদনের জন্য হ্যাচারি চালু করতে হবে, যেটি পার্শ্ববর্তী দেশে চলমান রয়েছে বাজার নিয়ন্ত্রণ করার জন্য; পোল্ট্রি ফিড ও একদিন বয়সী সব ধরনের মুরগির বাচ্চা আমদানির করার অনুমোদন দিতে হবে, তা না হলে করপোরেট গ্রুপের সিন্ডিকেট কোনোদিনই বন্ধ করা সম্ভব হবে না। সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন।