নিজস্ব প্রতিনিধি, পেকুয়া :
কক্সবাজারের পেকুয়ায় পারভিন আক্তার (৩৫) নামে এক গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার উজানটিয়া ইউনিয়নের গুদারপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত পারভিন আক্তার ওই এলাকার কায়েস উদ্দিনের স্ত্রী। পারভিন আক্তার দুই সন্তানের জননী। রোববার ভোর ৪টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এরআগে রাতে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
জানা গেছে, ২০০৯ সালে চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী ইউনিয়নের তানজুক কাটা এলাকার পারভিন আক্তারের সাথে উজানটিয়া ইউনিয়নের পেকুয়া উপজেলার গুদারপাড়া এলাকার কায়েস উদ্দিনের বিয়ে হয়। তাদের দুইটি কন্যা সন্তান রয়েছে। পারভিন আক্তারের পিতা কবির আহমদ, বড় ভাই তৌহিদুল ইসলাম জানায়, জামাই কায়েস উদ্দিন একজন জুয়ারি ও নেশাখোর। জুয়া খেলা নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া লেগেই থাকত। জুয়ায় সহায় সম্বল হারিয়েছে। যৌতুকের জন্য প্রায় সময় মারধর করত কায়েস। রাতে কায়েস, ভাসুর আনোয়ার হোসেন ও শাশুড়ি মাহফুজা বেগম মিলে পারভিনকে পেটায়। বর্বর নির্যাতন চালায়। পিপাসায় ছটফট করলেও তাকে পানি দেয়নি।
তারা আরো জানায়, এর আগেও তারা কয়েকদফা নির্যাতন চালায় পারভিনের উপর। কুপিয়ে মারাত্বক জখম করেছে কয়েকবার। কায়েসের সৎভাই মফিজ উদ্দিন জানায়, নির্যাতনে মেয়েটিকে মেরে ফেলা হয়েছে। কায়েস আমার ভাই হলেও সে নিষ্ঠুর প্রকৃতির। মাদক ও জুয়ায় আসক্ত। পারভিনকে প্রায় সময় মারধর করত। এদিকে ওই ঘটনায় গা ঢাকা দিয়েছে শ্বশুর বাড়ির লোকজন। ঘটনার পরপরই তারা বাড়ি থেকে পালিয়ে গেছে। পেকুয়া থানার ওসি (তদন্ত) কানন সরকার জানায়, লাশ এখনো হাসপাতালে। রিপোর্ট পেলে জানা যাবে আসল মৃত্যুর কারণ।
এ মুহূর্তের সংবাদ