সুপ্রভাত ডেস্ক :
সিনেমা আজকের দিনে জনপ্রিয় বিনোদন মাধ্যমের একটি। একটা ভালো সিনেমা নিমার্ণ করতে বেশ অর্থ ব্যয় করতে হয়। নির্মাতারা তাদের চিন্তাকে দর্শকের চোখে পৌঁছে দিতে প্রচুর অর্থ ব্যয় করেন। আর ভালো সিনেমা প্রযোজকের বিনিয়োগকৃত অর্থ ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি আর্থিকভাবেও সফলতা আনে। তবে এর ব্যতিক্রমও হয় অনেকক্ষেত্রে। আসুন জেনে নেই পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে ব্যয়বহুল ১০টি সিনেমা সম্পর্কে।
তালিকার ১০ নাম্বারে আছে ‘ব্যাটম্যান ভার্সেস সুপারম্যান : ডাউন অফ জাস্টিস’
কমিক দুনিয়ার দুই মহারথী ব্যাটম্যান আর সুপারম্যানের কম্বিনেশন সবারই প্রিয়। কিন্তু ২০১৬ সালের এই সিনেমাটি নির্মাণে খরচ কিন্তু কম হয়নি। তালিকায় ১০ নাম্বারে থাকা এই মুভিটি নির্মানে খরচ হয়েছে ২৬৩মিলিয়ন মার্কিন ডলার যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ২২৩০কোটি টাকা।
তালিকায় নয় নাম্বারে স্থান করে নিয়েছে ‘জন কার্টার’ সিনেমাটি
২০১২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ছবিটি মুলত সাইন্স ফিকসন, অ্যাকশন এবং অ্যাডভেঞ্চার ঘরানার একটি ছবি। এ্যন্ড্রু স্ট্যানটন পরিচালিত ডিজনির এই সিনেমাটি নির্মান ব্যয় হয়েছে ২৬৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ২২৩৫ কোটি টাকা।
সাত এবং আট নাম্বারে থাকা মুভি দু’টির খরচ ছিলো প্রায় সমান। প্রথম ছবিটি ২০১৯ সালের অ্যাকশন, অ্যাডভেঞ্চার এবং ফ্যান্টাসি ঘরানোর ছবি ‘স্টার ওয়ারস; দ্যা রাইস অফ স্কাই ওয়াকার’ এবং আরেকটি ২০১৮ সালে সাইন্স ফিকসন, অ্যাকশন ঘরানোর ছবি ‘সোলো : এ স্টার ওয়ারস স্টোরি’। মুভি দুইটাই নির্মান করতে প্রত্যেকটার খরচ গুনতে হয়েছে প্রায় ২৭৫মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
এরপর তালিকায় ছয় এবং পাঁচ নাম্বারে রয়েছে দুইটা পাশাপাশি মুভি। প্রথমটি ২০০৭ সালের অ্যাকশন, অ্যাডভেঞ্চার ঘরানোর মুভি ‘পাইরেট অব দ্যা ক্যারাভিয়ান : অ্যাট দ্যা ওয়াল্ড ইন্ড’ এবং দ্বিতীয়টি হলো ২০১৭ সালের মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি ‘জাস্টিস লিগ’ ছবিটি। আর এই ছবি দুটি নির্মানে খরচ হয়েছে প্রায় ৩০০মিলিয়ন মার্কিন ডলার যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ২৫৪৪কোটি টাকা।
তালিকায় চার নাম্বারে উঠে এসেছে ‘অ্যাভেঞ্জার: ইনফিনিটি ওয়ার’। ২০১৮ সালে ব্যাপক সাড়া পাওয়া এই সুপারহিরো ঘরানোর মুভিটি নির্মানে খরচ করতে হয়েছে প্রায় ৩১৬মিলিয়ন মার্কিন ডলার যা বাংলাদেশি টাকায় ২৬৮০কোটি টাকা।
তিন নাম্বারে স্থান করে নিয়েছে অ্যাভেঞ্জার সিরিজের আরো একটি ছবি ‘অ্যাভেঞ্জার : এন্ড গেম’। এখন পর্যন্ত বিশ্বে সুপারহিরো মুভির মধ্যে ‘অ্যাভেঞ্চার : এন্ড গে‘ই সবচেয়ে সফল। তবে এই সফলতার জন্য খরচও কিন্তু কম হয়নি। মুভিটি নির্মান করতে খরচ হয়েছে প্রায় ৩৫৬মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
দুই নাম্বার স্থান দখল করে আছে অ্যাভেঞ্জার সিরিজের আরো একটি ছবি ‘অ্যাভেঞ্জার : এজ অব আল্ট্রোন’। ২০১৫ সালে সাইন্স ফিকশন, অ্যাকশন ঘরানোর এই মুভিটি নির্মানে খরচ হয়েছে প্রায় ৩৬৫মিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৩০৯৫কোটি টাকা।
পাঠক এতক্ষণ এসব মুভি নির্মানের খরচ শুনে যদি আপনি অবাক হয়ে থাকেন তাহলে আপনি তালিকায় এক নাম্বারে থাকা মুভিটি খরচ শুনলে আরো অবাক হবেন। কেননা লিস্টের সবচেয়ে ব্যায়বহুল মুভি এখনো বাকি।
তালিকায় এক নাম্বারে যে মুভিটির স্থান দখল করে আছে সেটি হলো পাইরেটস অফ দ্য ক্যারিবিয়ান। জনপ্রিয় মুভি সিরিজের এই মুভিটি রিলিজ পায় ২০১১ সালে। আর বিখ্যাত গুনি অভিনেতা জন ডিপ এর এই মুভিটি কিন্ত নির্মান করতে হয়েছে প্রায় ৩৭৯মিলিয়ন ডলার, যা প্রায় বাংলাদেশি টাকায় ৩২১৪কোটি টাকা।
মজার কথা হলো ৩৭৯মিলিয়ন ডলারে এই মুভিটি বক্স অফিসে ইনকাম করেছে নিমার্ণের প্রায় তিনগুণ অর্থ। অথ্যাৎ এটি ইনকাম করেছে প্রায় ১.০৪৬বিলিয়ন ডলার। খবর : ডেইলিবাংলাদেশ’র।
বিনোদন