নিজস্ব প্রতিনিধি, পটিয়া ও চকরিয়া :
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার আরাকান মহাসড়কের পটিয়া উপজেলার শ্রীমাই ব্রিজ এলাকায় সিএনজিচালিত বেবি উল্টে গতকাল সন্ধ্যায় এক মাদ্রাসা শিক্ষক নিহত হয়েছেন। তাঁর নাম মো. আবুল কালাম (৫২)। নিহত ব্যক্তি চন্দনাইশ উপজেলার সাতবাড়িয়া এলাকার মৃত এলাহি বক্সের পুত্র। তিনি পটিয়া পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডস্থ আমিরুল আউলিয়া সুন্নিয়া দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক।
জানা গেছে, ওইদিন সন্ধ্যায় সিএনজিচালিত অটোরিকশাযোগে তিনি চন্দনাইশে তার বাড়ি যাচ্ছিলেন। এ সময় উল্টোদিক থেকে আসা একটি ভ্যা গাড়ির সাথে ধাক্কা খেয়ে তাঁকে বহনকারী সিএনজিটি উল্টে যায়। এ সময় শিক্ষক আবুল কালাম গাড়ির সামনে আসনে বসা ছিলেন। দুর্ঘটনার পর গাড়ি থেকে তিনি নিচে পড়ে গুরুতর আহত হন। এ সময় স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে পটিয়া হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যা তিনি মারা যান। গাড়িতে আরো ৫জন যাত্রী ছিলেন বলে স্থানীয়রা জানান।
পটিয়া থানার এসআই আক্কাস আলী জানিয়েছেন, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। এর আগে স্থানীয় লোকজন শিক্ষককে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
চকরিয়া
চকরিয়ায় শনিবার রাতে বজ্রপাতে সাজিদ উদ্দিন (২৮) নামে মৎস্য ঘেরের এক শ্রমিক নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরো একজন। এদিন রাত ৯টার দিকে উপজেলার পশ্চিম বড় ভেওলা ইউনিয়নের ইলিশিয়া ফিসকা মৎস্য খামার এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।
নিহত সাজিদ উদ্দিন পশ্চিম বড় ভেওলা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের মেন্নিপাড়া এলাকার আব্দুস ছমদের ছেলে। আহত শামিমুল ইসলাম (২৫) একই এলাকার মো. জকরিয়ার ছেলে।
তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। পশ্চিম বড় ভেওলা ইউনিয়ন পরিষদের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য সাইফুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ শামসুল তাবরীজ বলেন, বজ্রপাতে নিহতের পরিবার সরকারি অর্থ সহায়তা পাবে। প্রাথমিকভাবে দাফন-কাফনের জন্য সহায়তা দেওয়া হবে।
অপরদিকে একইদিন রাতে পেকুয়া উপজেলার টইটং ইউনিয়নের খুনিয়াভিটা এলাকায় বজ্রপাতে মুহাম্মদ নেজাম উদ্দিন প্রকাশ মিয়া (৩০) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। এদিন রাত সাড়ে আটটার দিকে টইটং ইউপির খুনিয়াভিটা এলাকায় বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে। নিহত যুবক একই এলাকার নুরুল ইসলামের ছেলে।
নিহতের বাবা নুরুল ইসলাম বলেন, শনিবার সন্ধ্যার দিকে ছেলে মিয়া বাড়ির পাশে ঘুরতে বের হয়। রাত সাড়ে ৮টার দিকে সে বাড়ির দিকে চলে আসছিল। বাড়িতে প্রবেশ করার আগ মুহূর্তে ছেলে বজ্রপাতে আক্রান্ত হয়।