সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক »
নাজমুল হাসান পাপনের বোর্ডে স্বপ্নের প্রজেক্ট ছিল পূর্বাচলের শেখ হাসিনা স্টেডিয়াম। সরকার পতনের সঙ্গে সঙ্গে সেই স্টেডিয়ামও এখন অন্ধকারে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নতুন প্রেসিডেন্ট ফারুক আহমেদ জানিয়েছেন, তারা এখন বড় স্টেডিয়ামের বাজেট পোষাতে পারবেন না। গতকাল শনিবার (৩১ আগস্ট) পূর্বাচলে স্টেডিয়ামের জায়গা পরিদর্শন শেষে ভবিষ্যত নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ফারুক। স্টেডিয়াম তৈরি নিয়ে এক প্রশ্নে বিসিবি প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘দুটো মাঠের এখানে অনুমতি ছিল, বড় স্টেডিয়াম হওয়ার কথা ছিল। এই মুহূর্তে হয়তো এত বড় বাজেট আমরা এফোর্ট করতে পারবো না।’ আপাতত বিসিবির পরিকল্পনা খেলা উপযোগী মাঠ তৈরি করা, ‘সেজন্য এখানে আমরা প্রথম একটা মাঠ দিয়ে শুরু করবো তারপর পাশের মাঠটা চেষ্টা করবো। আপনারা শিগগিরই দেখতে পারবেন মাঠের কাজ শুরু করবো।’ সরকার থেকে নামমাত্র মূল্যে ৩ হাজার ৭৩৫.৭০ শতাংশ জায়গা পায় বিসিবি। যার বাজার মূল্য প্রায় ৩ হাজার ৫৪৯ কোটি ৪২ লাখ ৩২ হাজার ৮৭২ টাকা। স্টেডিয়ামের ব্যয় ধরা হয়েছিল ৯০০ কোটি টাকা। তবে জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাওয়ায় প্রায় দেড় হাজার কোটি পর্যন্ত বাজেটের কথাও শোনা যাচ্ছিল। ইতিমধ্যে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান পপুলাশকে ৭৬ কোটি টাকা পরিশোধ করেছে বোর্ড। বিসিবি প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমাদের তো ইতিমধ্যে একটা পরামর্শে বিনিয়োগ হয়ে গেছে। ওটাকে ধরে বড় কোনো পরিবর্তন না করে আগাতে হবে। কেননা হয় কী আপনি তো একদিনে সব করতে পারবেন না।’
‘প্রথমত মাঠ, ড্রেসিংরুম তৈরি করবেন। ওদের যে পরিকল্পনা ছিল…চেষ্টা করবো। ওদের যে প্ল্যান ছিল আমি দেখি নাই। এটা আসলে বলা ঠিক হবে না। তারপরও যতটুকু সাধারণ জ্ঞানে বোঝা যায়, ওই পরামর্শ অনুযায়ী মাঠটা করবো।’ খবর রাইজিংবিডি.কম’র