সুপ্রভাত ডেস্ক »
পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে পাঠানো প্রতিবাদলিপির একটি অংশে বলা হয়, ‘জননিরাপত্তা ও জনশৃঙ্খলা রক্ষার ক্ষেত্রে এ ধরনের বিভ্রান্তিকর রিপোর্ট (প্রতিবেদন) প্রকাশ করা থেকে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ জানানো হচ্ছে। ভবিষ্যতে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী সম্পর্কে কোনো ধরনের রিপোর্ট প্রকাশের ক্ষেত্রে অধিকতর সতর্কতা অবলম্বন ও সাংবাদিকতার নীতিমালা যথাযথভাবে অনুসরণের জন্যও আমরা সনির্বন্ধ অনুরোধ জানাচ্ছি।’
এ বিষয়ে নোয়াবের বক্তব্য হলো, পুলিশের নানা অর্জন ও ভালো কাজের মূল্যায়ন প্রতিবেদন আকারে গণমাধ্যম প্রচার করে থাকে। আবার সরকারের দায়িত্বশীল পদে কর্মরত থাকাকালে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে বিপুল সম্পদ অর্জন, যা জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয়—এমন তথ্য অনুসন্ধান করে পেশাদারির সঙ্গে তা প্রকাশের কাজটিও করে থাকে গণমাধ্যম। এসব বিষয়ে সংবাদ পরিবেশনে কোনো ত্রুটি থাকলে তার দায় সংশ্লিষ্ট সংবাদমাধ্যমের। এ নিয়ে প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি যথাযথ নিয়ম ও বিধি অনুসরণ করে প্রেস কাউন্সিলের দ্বারস্থ হতে পারে। তা না করে প্রতিবাদের মাধ্যমে পারস্পরিক দোষারোপ, ভবিষ্যতে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী সম্পর্কে কোনো ধরনের রিপোর্ট প্রকাশের ক্ষেত্রে অধিকতর সতর্কতা অবলম্বনের অনুরোধের নামে গণমাধ্যমকে হুমকি দেওয়া হয়েছে, যা স্বাধীন গণমাধ্যম ও নিরপেক্ষ সাংবাদিকতা চর্চার পরিপন্থী বলে মনে করে নোয়াব।
নোয়াব বলছে, পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের এ চিঠি তাদের ভাবমূর্তিকেই আরও ক্ষুণ্ন করেছে এবং দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তাদের নৈতিক সমর্থন দিয়েছে।