নিজস্ব প্রতিবেদক, কক্সবাজার »
কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা শিবিরে সাত দিনের ব্যবধানে আবারও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসসহ ৭ ইউনিট কাজ করার পরও শিবিরের প্রায় দুই শতাধিক ঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। আগুন লাগার সাড়ে তিনঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা।
গতকাল শনিবার দুপুরের দিকে ১৩ নম্বর ক্যাম্পের কাঁঠাল গাছতলা বাজারে অগ্নিকাণ্ডের এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন উখিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শামীম হোসেন। তবে তাৎক্ষণিকভাবে আগুন লাগার কারণ জানা যায়নি।
রোহিঙ্গাদের বরাত দিয়ে উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর হোসেন বলেন, উখিয়ার ১৩ নম্বর ক্যাম্পের কাঁঠাল গাছতলা বাজারে দুপুর পৌনে ১টার দিকে আগুন লাগে। আগুন নেভাতে ক্যাম্পের প্রশিক্ষিত স্বেচ্ছাসেবক ও ফায়ার সার্ভিস এবং পুলিশসহ ৭টি টিম কাজ করছে।
তবে দিন-দুপুরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাকে নাশকতা বলছেন সাধারণ রোহিঙ্গারা। তাদের দাবি, নাশকতার উদ্দেশে মিয়ানমারের সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আরসার সন্ত্রাসীরা পরিকল্পিতভাবে এই আগুন দিয়েছে। তবে আগুন লাগার ঘটনাটি পরিকল্পিত কিনা তা তদন্তের মাধ্যমে বেরিয়ে আসবে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা।
নবনির্বাচিত উখিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী বলেন, মিয়ানমারের সংঘাতের কারণে অস্থিরতা বিরাজ করছে কক্সবাজারের ক্যাম্পগুলোতে। ক্যাম্পে খুনোখুনির পাশাপাশি নাশকতার চেষ্টা করছে মিয়ানমারের সন্ত্রাসী সংগঠনের গ্রুপগুলো। এরই মধ্যে কয়েক দফায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী অভিযান চালিয়ে পাহাড়ে মজুত করা মিয়ানমারের ভারী অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করেছে। একই সঙ্গে গ্রেফতার করেছে সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর সদস্যদের।
কক্সবাজার ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারী পরিচালক অতীশ চাকমা বলেন, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার তদন্ত চলছে। তদন্তের মাধ্যমে আগুনের সূত্রপাত সম্পর্কে পরিষ্কার হওয়া যাবে। মূলত এটা কি লাগিয়ে দেয়া আগুন নাকি নিছক দুর্ঘটনাবশত তা তদন্তের মাধ্যমে বলা যাবে। তদন্ত কমিটি ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও নির্ধারণ করবে।
উল্লেখ্য, ২৪ মে উখিয়ার তাজিমারখোলা ক্যাম্পে ৫ ঘণ্টার আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায় ৩ শতাধিক বসতি। একইসঙ্গে আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয় ২ শতাধিক বসতি আর অর্ধ-শত দোকানপাট।