পুকুরে বিষ প্রয়োগে ২০ লাখ টাকার মাছ নিধনের অভিযোগ

সাতকানিয়া

নিজস্ব প্রতিনিধি, সাতকানিয়া »

সাতকানিয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে প্রতিপক্ষের পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় ২০ লাখ টাকার মাছ নিধন করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুকুরের মালিক থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।

গত মঙ্গলবার গভীররাতে উপজেলার সদর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের চেয়ারম্যান পাড়ার জমাদার পুকুরে বিষ প্রয়োগের এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় লোকজন ও থানার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পাড়ার বশির আহমদ চৌধুরী নিজ পুকুরে রুই, কাতলা, সরপুটি, কার্ফ, পাঙ্গাস, নাইলোটিকা ও তেলাপিয়াসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ চাষ করেন। এলাকার আধিপত্যসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে একই গ্রামের হেলাল উদ্দীন, মোহাম্মদ সরোয়ার, রফিকুল ইসলাম, মো. ফখরুল ইসলাম, সাকিবুর রহমানের সাথে তার বিরোধ চলে আসছিল। এ বিরোধের জের ধরে গত ১৫ আগস্ট গভীর রাতে তারা সীমানা প্রাচীর টপকিয়ে পুকুরে মাছ নিধনের বিষ প্রয়োগ করে। পরের দিন মঙ্গলবার সকাল থেকে সারাদিন পুকুরের বিভিন্ন প্রজাতির মাছ মরে ভেসে উঠে। তারা পুকুরের পাড় হতে ৩টি পানি সেচের মেশিন ও গভীর নলকূপের মেশিন চুরি করে নিয়ে যায়। যার আনুমানিক মুল্য ৭০ হাজার টাকা অভিযোগকারী জানান।

অভিযোগকারী বশির আহমদ চৌধুরীর স্ত্রী শিরিন আক্তার চৌধুরী জানান, আমার স্বামীর ভোগ দখলীয় পুকুরই ছিল আমাদের পরিবারের একমাত্র সম্বল। মাছ চাষ করে আমরা জীবিকা নির্বাহ করি। কিছুদিন আগে ওই পুকুরে ১৫ লাখ টাকার মাছ ছাড়া হয়।

জানতে চাইলে অভিযুক্ত রফিকুল ইসলাম বলেন- অভিযোগটি মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। ওই ঘটনার সাথে বিন্দুমাত্রও আমি জড়িত নই। তিনি আরো বলেন, বিষ প্রয়োগে মাছ মরার বিষয়টি আমি জানি না এমনকি আমি ওই পুকুরের ধারে কাছেও যায়নি।

সাতকানিয়া সদর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নাছির উদ্দীন চৌধুরী বিষ প্রয়োগে মাছ মারার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। সাতকানিয়া থানার উপপরিদর্শক ছালামত উল্লাহ বলেন, যত বড় পুকুর সে পরিমাণ মরা মাছ দেখা যায়নি। তারপরও বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।