পিএসসির প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় আবেদ আলীসহ আটক ১৭

পিএসসির সাবেক চেয়ারম্যানের গাড়ি চালক আবেদ আলী।

সুপ্রভাত ডেস্ক »

সোমবার (৮ জুলাই) অভিযানের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সিআইডির এক সহকারী পুশিল সুপার সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় পিএসসির সাবেক চেয়ারম্যানের গাড়ি চালক আবেদ আলী এবং তার ছেলে ছাত্রলীগ নেতা সিয়ামসহ ১৭ জনকে আটক করা হয়েছে। গত দুই দিন দেশের বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

সোমবার (৮ জুলাই) অভিযানের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সিআইডির এক সহকারী পুশিল সুপার এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি একটি গণমাধ্যমের তদন্তে বিসিএসসহ ৩০টি নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস করার একটি চক্র উন্মোচিত হয়েছে।

গণমাধ্যমটির ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, পিএসসি’র ছয় কর্মকর্তা-কর্মচারীর একটি সিন্ডিকেট দীর্ঘদিন ধরে পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের সঙ্গে জড়িত। অভিযুক্তদের একজন সৈয়দ আবেদ আলী ওরফে জীবন। তিনি পিএসসি-এর চেয়ারম্যানের সাবেক গাড়িচালক।

গাড়িচালক হলেও মাদারীপুর জেলার ডাসার উপজেলার বাসিন্দা আবেদ আলী কোটি টাকার সম্পদ অর্জন করেছেন বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে চ্যানেল টোয়েন্টিফোর।

প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে তার সম্পৃক্ততার কথা প্রকাশের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীরা আবেদ আলীর বিশাল সম্পদের বিষয়টি তুলে ধরে অভিযোগ করেন, তিনি ঢাকায় দুটি বহুতল ভবন এবং মাদারীপুরে একটি বিলাসবহুল বাড়ির মালিক।

যদিও এসব দাবির সত্যতা এখন পর্যন্ত নিশ্চিত করা যায়নি, তবে আবেদ আলীর নামে একটি ফেসবুক পেজে তার মালিকানাধীন একটি হোটেল সম্পর্কে পোস্ট করা হয়েছে।

১৮ মে তারিখে প্রকাশিত একটি পোস্টে তিনি লিখেছেন: ‘আমাদের নতুন হোটেল এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলাম আজ। হোটেল সান মেরিনা, কুয়াকাটা।’

অন্যদিকে, আবেদ আলীর ছেলে সৈয়দ সোহানুর রহমান সিয়ামও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছেন।

ডাসার উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সিয়াম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মানুষকে সাহায্য করার বিভিন্ন ভিডিও পোস্ট করেছেন।

অভিযোগ রয়েছে, তিনি দামি গাড়ি ব্যবহার করেন এবং বিদেশে পড়াশোনা করেছেন।

সোহানুর রহমান সিয়াম দুটি গাড়ির ছবি পোস্ট করেছেন। সেগুলোর মালিক তিনি বলেও অভিযোগ রয়েছে। এসব গাড়ির একটির মূল্য আনুমানিক ৭০ লাখ টাকা এবং অন্যটির দাম ৪০ লাখ টাকা।

তবে গাড়িগুলো তার কি না বিষয়টি এখনো স্পষ্ট নয়।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যবহারকারীরা এখন প্রশ্ন করছেন, কীভাবে একজন গাড়িচালক এত সম্পদ অর্জন করতে পারেন।