নিজস্ব প্রতিনিধি, দীঘিনালা :
দীঘিনালা উপজেলায় পাহাড়ি নারীসহ তিনজনকে অপহরণের অভিযোগ উঠেছে। গত রোববার দুপুরে তাদের নিজবাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর তারা আর ফিরে আসেননি। তাদের বাড়ি উপজেলার কামাকোছড়া গ্রামে। এ ঘটনায় অপহৃতদের পরিবারের পক্ষ থেকে ইউপিডিএফ কে দায়ী করা হলেও ইউপিডিএফ-এর জেলা সংগঠক অগ্য মারমা অপহরণের অভিযোগ অস্বীকার করেন।
অপহৃতরা হলেন ধর্মদাশ চাকমার স্ত্রী রাজলক্ষ্মী চাকমা (৬৫), তাঁর ছেলে রণজ্যোতি চাকমা (৩২) এবং প্রিয়নাথ চাকমার ছেলে প্রভাতচন্দ্র চাকমা (৩৫)। তাদের সকলের বাড়ি উপজেলার কামাকোছড়া গ্রামে।
গতকাল সকালে অপহৃতদের বাড়ি গিয়ে দেখা যায়, বাড়িতে থাকা ধর্মদাশ চাকমা (৭০) ও তার পুত্রবধূ ঘরেই আছেন। তবে তাদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। ধর্মদাশ চাকমা জানান, প্রতিবেশী দানবীর চাকমার সাথে তাদের ভূমিবিরোধ ছিল। অন্যদিকে দানবীর চাকমার স্ত্রী তৃপ্তি চাকমার বড়ভাই ইউপিডিএফ-এর বড় নেতা।
গত রোববার দুপুরে স্থানীয় কারবারি প্রণয় চাকমার মুঠোফোনে তাদের বাবুছড়া ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখান থেকেই কে বা কারা তাদের অজ্ঞাতস্থানে নিয়ে যায়। তারপর থেকে তাদের কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।
প্রভাতন্দ্র চাকমার স্ত্রী সঞ্চিতা চাকমা (৩০) জানান, তাঁদের সাথে আমার এবং আমার স্বামীর কোনো দ্বন্দ্ব-বিরোধ নেই। তারপরও আমার স্বামীকে তারা অপহরণ করেছে। দানবীর চাকমার স্ত্রী তৃপ্তি চাকমা জানান, আমরা কারো নিকট কোনো প্রকার অভিযোগ করিনি। আমরা কাউকে অপহরণ করতে বলিনি।
ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)-এর জেলা সংগঠক অগ্য মারমা অপহরণের বিষয়টি অস্বীকার করে জানান, ইউপিডিএফ অপহরণের রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না। তিনি জানান, একটি পক্ষ পাহাড়ে অশান্তি সৃষ্টি করতে চাচ্ছে ।
দীঘিনালা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) উত্তম চন্দ্র দেব ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, অপহরণের ঘটনা শুনেছি। তবে এ ব্যাপারে কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি। ঘটনার তদন্তসহ আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
এ মুহূর্তের সংবাদ