নিজস্ব প্রতিবেদক »
পাহাড়তলী এলাকায় রেলের জায়গা দখল করে ব্যবসা পরিচালনা করায় মো. ফরিদ নামে ব্যবসায়ীকে চাঁদার দাবিতে হত্যা করা হয়েছে। এ হত্যাকা-ে সম্পৃক্ত আরও দুই আসামিকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। বুধবার কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম এবং চান্দিনা থানা এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাবের সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) নুরুল আবছার।
তিনি বলেন, ‘৭ মে পাহাড়তলী এলকায় প্রকাশ্যে লাঠি ও রড দিয়ে পিটিয়ে ব্যবসায়ী ফরিদকে হত্যা করা হয়। এ বিষয়ে তার বোন রাশেদা আক্তার বাদি হয়ে ১১ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা আরও ১৫/১৬ জ কে দায়ী করে ডবলমুরিং থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। হত্যাকা-ের পরপর দিদারুল আলম ওরফে টেডি দিদার (৩৫) ও হৃদয় ওরফে চেরাগ আলীকে (২৮) গ্রেফতার করে পুলিশ।
এজাহারে উল্লেখ করা অন্যান্যরা হলেন, আলাউদ্দিন আলো, মো. শাহজাহান, আলাউদ্দিন ওরফে মনা, আলী আজগর লেদা, মো. সোহাগ, মো. ফেরদৌস, মো. সালাউদ্দিন, মো. আল আমীন, ও নাজিম উদ্দিন রাশেদ। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা চৌদ্দগ্রাম পশ্চিম ডেকরা পৈত্রিক বাড়ি থেকে মো. আলী আজগর লেদাকে (২৫), চান্দিনা থেকে মো. ইসমাইল হোসেনকে (৩০) গ্রেফতার করা হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘গ্রেফতার অভিযুক্তদের পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ডবলমুরিং থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এছাড়াও সিডিএমএস পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, মো. ইসমাইল হোসেনের বিরুদ্ধে নগরীর হালিশহর থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনের মামলা রয়েছে।’
জানা গেছে, মো. ফরিদ নগরের পাহাড়তলী রেলওয়ে কলোনিতে একটি কার ওয়াশের দোকানের পাশাপাশি রেলওয়ের জায়গায় দোকান নির্মাণ করে ভাড়ায় দিয়েছিলেন। এ দোকান ভাড়ার টাকার অংশ থেকে বিভিন্ন সময় চাঁদা দাবি করে আসছিলেন আলাউদ্দিন আলো এবং দিদারুল আলম প্রকাশ টেডি আলম। ৭ মে ফরিদ চাঁদার টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় পাহাড়তলী বাজার রেলস্টেশনের প্রবেশ পথে পরিকল্পিতভাবে তাকে স্ট্যাম্প, লাঠি, ইটের টুকরা, কিরিচ, রড, ধারালো ছোরা এবং দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে নির্মম ও নৃশংসভাবে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে। ফরিদ প্রাণে বাঁচার আকুতি জানালেও দুস্কৃতিকারীরা তাকে বেধড়ক পিঠিয়েছে। পরে এলাকাবাসীর সহযোগীতায় তার স্ত্রী ফরিদকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিন ঘণ্টার মাথায় ফরিদ মৃত্যুবরণ করে।