আজ জলকেলি বা পানি খেলা
নিজস্ব প্রতিবেদক, বান্দরবান »
সাংগ্রাই উৎসবে মেতেছে পাহাড়ের মারমা পল্লীগুলো। নতুন বছরকে ঘিরে পাহাড়ের ১২টি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সম্প্রদায় পালন করে নানা উৎসব। এর মধ্যে বান্দরবান জেলার বৃহত্তর জনগোষ্ঠী মারমা সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী সাংগ্রাই উৎসব অন্যতম।
গতকাল সকালে বান্দরবান শহরের ঐহিত্যবাহী রাজারমাঠ এলাকা থেকে একটি বর্ণাঢ্য মঙ্গলশোভাযাত্রার মাধ্যমে পার্বত্য জেলা বান্দরবানে শুরু হয় মারমা সম্প্রদায়ের সাংগ্রাই উৎসব। শোভাযাত্রায় মারমা সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী পোশাকে অংশ নেয় মারমা, চাকমা, ম্রো, ত্রিপুরাসহ ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সম্প্রদায়ের নারী পুরুষসহ বাঙালিরা। শোভাযাত্রায় নেতৃত্ব দেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী ও বান্দরবানের সংসদ সদস্য বীর বাহাদুর উশৈসিং ।
বর্ষবরণকে ঘিরে এখন বর্ণিল সাজে পাহাড়ি জনপদ বান্দরবান। পুরাতন বছরকে বিদায় ও নতুন বছরকে বরণ করে নিতে মারমা সম্প্রদায় পালন করে সাংগ্রাই উৎসব। সেই উৎসবের আনন্দ এখন বান্দরবান জেলাজুড়ে।
এসময় তিনি সকলকে বাংলা নববর্ষ ও সাংগ্রাই উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, বান্দরবানে সম্প্রীতি, বন্ধুত্ব সব কিছু আছে। তাই ‘পরিবেশ’ এর প্রশ্ন তোলার কোন প্রয়োজন নেই। শান্তি সম্প্রীতির জন্য প্রধানমন্ত্রীকে বান্দরবানবাসীর পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সু-নেতৃত্বের কারণেই আজকে পার্বত্যঞ্চলে সুখ, সমৃদ্ধি, শান্তি বজায় রয়েছে। আগামীতে সকল দল মতের মানুষ শান্তিতে এগিয়ে যাবে।
পরে বান্দরবান ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট এ গিয়ে বয়োজ্যেষ্ঠ পূজা অনুষ্ঠিত হয়। বয়স্ক পূজার মধ্যদিয়ে সমাজের প্রবীণ ব্যক্তিদের সম্মান জানানো হয়।
জানা গেছে, আজ বৃহস্পতিবার বৌদ্ধ এবং শুক্রবার স্থানীয় সাঙ্গু নদীর তীরে সাংগ্রাইয়ের অন্যতম আকর্ষণ ঐতিহ্যবাহী জলকেলি বা পানি খেলা উৎসব। এ উৎসবে হাজারো মানুষের সমাগম ঘটবে। পারস্পরিক মৈত্রীর বন্ধন অটুট রাখা এবং পুরাতন বছরের গ্লানি মুছে ফেলাই এ জলকেলির মূল উদ্দেশ্য।
নানা আয়োজনে চলবে মারমা সম্প্রদায়ের এই সাংগ্রাই উৎসব উদযাপন। ১৫ এপ্রিল সন্ধ্যায় বিহারে বিহারে সমবেত প্রার্থনার মধ্যদিয়ে সমাপ্তি ঘটবে মারমা সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী এই সাংগ্রাই উৎসবের।