সুপ্রভাত ডেস্ক »
চট্টগ্রামের পাহাড়গুলোতে অবৈধভাবে বসতি স্থাপনকারীদের উচ্ছেদ এবং বসতি ঠেকাতে বিদ্যুৎ-পানি ও গ্যাসের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হবে। সকল সরকারি-বেসরকারি সংস্থা চট্টগ্রামের পাহাড়গুলোর হালনাগাদ তালিকা দেওয়ার পর চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন শুরু করবে উচ্ছেদ। সোমবার চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ে ‘শক্তিশালী পাহাড় ব্যবস্থাপনা কমিটি’র ২৬তম সভায় এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।
চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার মো. আমিনুর রহমানের সভাপতিত্বে এ সভায় অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার আনোয়ার পাশা, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাশার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান, পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম মহানগরের পরিচালক হিল্লোল বিশ্বাসসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
বিভাগীয় কমিশনার আমিনুর রহমান সভায় বলেন, চট্টগ্রামের পাহাড়ে অবৈধভাবে বসবাসকারীরা যতই শক্তিশালী হোক, শিগগিরই তাদের উচ্ছেদ করা হবে।
বিভিন্ন সময় পাহাড় ধসে প্রাণহানির ঘটনায় প্রণীত সুপারিশ বাস্তবায়নের পাশাপাশি পাহাড়ে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে কোন বাধা এলে তা শক্তভাবে মোকাবেলা করা হবে বলেও জানান তিনি। খবর বিডিনিউজ।
সভায় পাহাড় কাটা বন্ধসহ সাতদফা সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পাহাড় কাটা ও পাহাড়ে বসরবাসের বিষয়ে সচেতনতা তৈরি করার ওপর জোর দেয়া হয়। এছাড়া যাদের উচ্ছেদ করা হবে, তাদের পুর্নবাসনের বিষয়টিও আলোচনায় আসে।
প্রশাসনের হিসাবে, চট্টগ্রামে ব্যক্তি ও সরকারি সংস্থার মালিকানাধীন মোট পাহাড়ের সংখ্যা ২৬টি এবং সেসব পাহাড়ে ৬ হাজার ৫৫৮টি পরিবার অবৈধভাবে বসবাস করে। এর মধ্যে সরকারি বিভিন্ন সংস্থার মালিকানার ১৬ পাহাড়ে বাস করে ৬ হাজার ১৭৫ পরিবার এবং ব্যক্তিগত মালিকানার ১০ পাহাড়ে ৩৮৩পরিবার বসরবাস করে।
প্রতি বছরই চট্টগ্রামে বর্ষা মৌসুম শুরুর আগে প্রশাসনের উদ্যোগে পাহাড়গুলোতে অবৈধভাবে বসতিস্থাপন কারীদের সরাতে উচ্ছেদসহ বিভিন্ন প্রকার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
বর্ষা মৌসুম শেষে বিভিন্ন পাহাড়গুলোতে আবারও অবৈধ বসতি স্থাপন হয়। স্থানীয় প্রভাবশালী এবং অসাধু ব্যক্তির সহায়তায় নি¤œ আয়ের মানুষ পাহাড়গুলোতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করে।