শফিউল আলম, রাউজান
রাউজান উপজেলার ১নং হলদিয়া ইউনিয়নের বৃন্দাবনপুর, বৃকবানুপুর, বানারস এলাকায় রয়েছে উপজাতীয় সম্প্রদায়ের বসবাস। উপজাতীয় সম্প্রদায়ের নারী ও পুরুষ সকলেই কৃষিকাজ, গবাদী পশুপালন, ধান ক্ষেত, হলুদ, আদা, ওলকচু, মারফা, বরবটি, কাকরোল ক্ষেতের চাষাবাদ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। সরেজমিনে পরিদশর্নকালে দেখা যায় বৃন্দাবনপুর, বৃকবানুপুর এলাকায় উঁচু পাহাড়ের পাদদেশে উপজাতীয় সম্প্রদায়ের নারী পুরুষ মিলে ধানের জুম চাষাবাদ করেছে । জুমের ধানের চারার ফাঁকে ফাঁকে রোপন করেছে হলুদ, আদা, বরবটি, মারফা, মিষ্টি কুমড়া। চৈত্র মাসে পাহাড়ের জঙ্গল পরিষ্কার করে কোদাল দিয়ে মাটি কুপিয়ে পাহাড়ের পাদদেশের স্থান চাষাবাদের উপযোগী করে তুলে উপজাতীয় সম্প্রদায়ের মারমা কৃষকরা। পাহাড়ের পাদদেশে গছা মেরে নতুবা দা দিয়ে ছোট ছোট গর্ত খনন করে ধানের বীজ বপন করেন। সারি সারি জুমের ধানের ফাঁকে ফাঁকে রোপণ করেন আদা ও হলুদ। জুমের ধানের চারা বেড়ে উঠার পর এই পাহাড়ি জমিতে বরবটি, মারফাসহ সবজি ক্ষেতের চাষাবাদ করেন মারমা জনগোষ্ঠিরা। রাউজানের পাহাড়ি এলাকার বসবাসকারী মারমা উপজাতীয়রা নারী পুরুষ মিলে গবাদী পশু পালন করেন। নিজেরা চাষাবাদ করা ছাড়াও বাইরে দিনমজুরের কাজ করেন মারমা জনগোষ্ঠিরা। বৃন্দাবনপুর এলাকায় পাহাড়ে বসবাসকারী উমু মং মারমা বলেন, পাহাড়ের পাদদেশে ৮০ শতক জমিতে ধানের জুম চাষাবাদ করেছি। জুমের ধানের ফাঁকে ফাঁকে হলুদ ও আদা ক্ষেতের চাষাবাদ করেছি। ৮০ শতক জমিতে ধান,হলুদ ও আদার চাষাবাদ করতে খরচ হয়েছে ২৫ হাজার টাকা । আশ্বিন মাসে জুমের ধান পাকার পর ধান কেটে ঘরে তুলবো। শীতের মৌসুমে হলুদ ও আদা তুলে বিক্রয় করে খরচ বাদ দিয়ে ৬০ হাজার টাকা আয় করতে পারবো বলে আশা করছি। চাষাবাদ ছাড়াও আমি ও আমার স্ত্রী মিলে গবাদী পশু পালন করি। চাষাবাদ ও গবাদি পশু পালন করে পরিবারের ব্যয় ভার বহন করছি। আমার চার মেয়ে এক ছেলে সন্তান রয়েছে। এক মেয়ে বিয়ে দিয়েছি। অন্য তিন মেয়ে ও ছেলে সন্তান স্কুলে লেখাপড়া করছে।