এবারের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ৬৫ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কোনো পরীক্ষার্থী পাস করতে পারেনি। ২০২৩ সালে ৪২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাসের হার শূন্য ছিল। ২০২২ সালের এইচএসসিতে শূন্য পাসের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ছিল ৫০টি। এবার এক হাজার ৩৮৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শতভাগ পাস করেছে।
গত বছর এই সংখ্যা ছিল ৯৫৩টি।
আর শতভাগ পরীক্ষার্থী পাস করেছে এক হাজার ৩৮৮ প্রতিষ্ঠান থেকে। ২০২৩ সালে শূন্য পাস প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ছিল ৪০টি, এবার বেড়েছে।
আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার বলেন, সব সময়ই শূন্য পাস করা প্রতিষ্ঠানগুলোকে চিহ্নিত করে তাদের মানোন্নয়নের জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হয়ে থাকে। যারা মানোন্নয়ন করতে পারে না, তাদের পাঠদান বা একাডেমিক স্বীকৃতি বাতিলের ব্যবস্থা করা হয়।
এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নিয়ে করণীয় জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক এস এম হাফিজুর রহমান একটি দৈনিককে বলেন, প্রতিবছরই এমনটি হয়ে থাকে। তাই এ বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে উদাহরণ তৈরি করার মতো পদক্ষেপ নেওয়া দরকার। প্রতিষ্ঠান বন্ধ না করে এগুলোকে উন্নয়নের চেষ্টা করতে হবে। তবে যথাযথ পরিদর্শন ও তদন্ত করে যদি দেখা যায় সংশ্লিষ্ট এলাকায় প্রয়োজনের চেয়ে প্রতিষ্ঠান বেশি, তাহলে সেগুলোর বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে
কয়েক দশক ধরে লক্ষ্য করা যাচ্ছে অনেকে প্রয়োজন না থাকা সত্বেও শুধু নিজের বা পরিবারের কারো নামে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিয়ে থাকেন। এরপর আর সে প্রতিষ্ঠানের খবরই রাখার দায়িত্ববোধ করেন না। অনেক সময় রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে প্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করিয়ে নেন।
আমরা মনে করি শিক্ষা বাণিজ্য নয়। এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কোনো হাবিজাবি প্রতিষ্ঠানও নয় যে, যার যেমন ইচ্ছা তেমন করে বা যেখানে-সেখানে একটি স্কুল-কলেজ প্রতিষ্ঠা করে দেবেন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান করার একটি নীতিমালা থাকা দরকার, জবাবদিহি থাকা দরকার। কেন একটি প্রতিষ্ঠান থেকে কেউ পাশ করবে না তার জন্য কর্তৃপক্ষকে জবাবদিহি করতে হবে। আর তা সন্তোষজনক না হলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।
এ মুহূর্তের সংবাদ