প্রধানমন্ত্রীকে কিশোরের খুদেবার্তা
নিজস্ব প্রতিনিধি, টেকনাফ :
টেকনাফের এক কিশোরের পাঠানো খুদেবার্তার (এসএমএস) গুরুত্ব দিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই কারণে পাল্টে গেল কিশোর মামুনদের জীবন।
টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়া কাটাখালী এলাকার রিকশাচালক ও মামুনের বাবা রমজান আলী (৪৫) এখন বিশ শতক জমির মালিক। সেই জমিতে করা হয়েছে পাকা বাড়িও।
এ ব্যাপারে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন জানান, মাস দেড়েক আগে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় থেকে তাকে ঘটনাটি জানানো হয়। টেকনাফ সীমান্ত এলাকার মামুন (১৭) নামের এক কিশোর প্রধানমন্ত্রীর মোবাইল ফোনে একটি খুদে বার্তা পাঠায়। মামুন প্রধানমন্ত্রীকে লিখেছিল, ‘আমাদের কোনো জমিও নেই, ঘরও নেই। আপনার সহযোগিতা চাই।’
জেলা প্রশাসক আরও জানান, এই বার্তা পাওয়ার পরই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়। এরপর জেলা প্রশাসক বিষয়টি টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) জানান। ইউএনও তখন মামুন নামের ওই কিশোরকে খুঁজে বের করেন।
কিশোর মামুন জানায়, তারা পাঁচ ভাই-বোন। তাদের কোনো জমি কিংবা ঘর নেই। বন বিভাগের জমিতে বসবাস তাদের। মামুন একটি দোকানে কাজ করত। মহামারির কারণে সেই কাজও হারাতে হয় তাকে। এরপর বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীকে জানায়।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশে মামুনের পিতা রিকশাচালক রমজান আলীকে টেকনাফের কেরুনতলী এলাকায় ২০ শতক খাস জমি ইজারা দেওয়া হয়েছে। তার নামে জমির দলিল এবং খতিয়ানও করা হয়েছে। জেলা প্রশাসক গতকাল সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘরের চাবিসহ দলিল হস্তান্তর করেন।