ডেস্ক রিপোর্ট »
আগামী ২০ মে বাংলাদেশের পাশাপাশি একই দিনে কানাডার ৫টি প্রভিন্সের ৮টি শহর এবং আমেরিকার ২৫টি স্টেটের শতাধিক শহরেএকযোগে মুক্তি পেতে যাচ্ছে তারকাবহুল সিনেমা ‘পাপ পুণ্য’ । একই দিনে চট্টগ্রামের একমাত্র সিনেপ্লেক্স সিলভার স্ক্রিনেও মুক্তি পাবে গিয়াস উদ্দিন সেলিমের এই সিনেমা।
২০০৯ সালে মুক্তি পায় গিয়াস উদ্দিন সেলিমের প্রথম ছবি ‘মনপুরা’। মুক্তির পর ছবিটি সারা দেশে রীতিমতো আলোড়ন সৃষ্টি করে। টানা অনেক দিন দেশের বিভিন্ন প্রেক্ষাগৃহে ছবিটি প্রদর্শিত হয়।
টেলিভিশন নাটকের নন্দিত পরিচালক গিয়াসউদ্দিন সেলিম ‘মনপুরা’ বানিয়ে সবাইকে চমকে দিয়েছিলেন। ঢালিউডের আলোচিত সিনেমা হিসেবে মানুষের মনে জায়গা করে নিয়েছে মনপুরা। দীর্ঘ বিরতির পর ‘স্বপ্নজাল’ বানিয়েও প্রশংসিত হন তিনি। করোনা মহামারি শুরু হওয়ার আগে তিনি শেষ করেন ‘পাপ–পুণ্য’-এর শুটিং। এরই মধ্যে সেন্সর ছাড়পত্রও পায় ছবিটি।
প্রথম দুটি চলচ্চিত্রে প্রেম আর ভালোবাসার আড়ালে গিয়াস উদ্দিন সেলিম দেখিয়েছেন বাংলার চিরায়ত রূপ, কুসংস্কার, ক্ষমতাবান ও নিপীড়িতের দ্বন্দ্ব ও সাম্প্রদায়িকতা। কেমন হবে তৃতীয়টি? ছবির গল্প এখনই বলতে চান না পরিচালক। শুধু বললেন, ‘মানুষের মৌলিক তাড়নাকেই ফুটিয়ে তুলতে চাই নতুন মোড়কে। আগে যে দুটি ছবি বানিয়েছি, ছবিটি তা থেকে আলাদা হবে।’
এদিকে ২০০৯ সালে ‘মনপুরা’ ছবিতে অভিনয় করেই দারুণ আলোচিত হয়েছিলেন চঞ্চল চৌধুরী। বলা যায়, এই ছবি দিয়েই সিনেমায় জন্ম হয়েছিল তাঁর। ‘মনপুরা’ ছবির পর গিয়াস উদ্দিন সেলিমের সঙ্গে এটি তাঁর দ্বিতীয় ছবি। ছবিটি নিয়ে দারুণ আশাবাদের কথা শোনালেন চঞ্চল। বলেন, ‘আমার বিশ্বাস “মনপুরা” ছবির মতোই উপভোগ্য হবে “পাপ পুণ্য”। কারণ, সেলিম ভাই একজন পরীক্ষিত পরিচালক। তা ছাড়া শুটিং করতে গিয়ে বুঝেছি, তাঁর এই সিনেমা সব শ্রেণির দর্শকের পছন্দ হবে।’
‘পাপ পুণ্য’ ছবিতে আরও অভিনয় করেছেন মামুনুর রশিদ, আফসানা মিমি, গাউসুল আলম শাওন, ফারজানা চুমকি, মনির খান শিমুল প্রমুখ।
‘পাপ–পুণ্য’ ছবিটি প্রযোজনা করেছে ইমপ্রেস টেলিফিল্ম লিমিটেড।
আন্তর্জাতিক বক্স অফিসে সবচেয়ে বেশি আয় করা বাংলাদেশি সিনেমা হচ্ছে ‘দেবী’। ছবিটি আয় করে এক লাখ ২৫ হাজার ডলার মানে কোটি টাকার ওপর। ‘পাপ পুণ্য’ কি শেষ পর্যন্ত ‘দেবী’র গড়া এই রেকর্ড ভাঙতে পারবে? এখানকার দর্শকদের মধ্যে কিন্তু সেই আগ্রহ দেখা যাচ্ছে।