নিজস্ব প্রতিনিধি, সীতাকুণ্ড »
সীতাকুণ্ডে বিএম কন্টেইনার ডিপোতে অগ্নিকা-ের ঘটনায় পুকুর থেকে পানি নিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।এতে ছোট বড় ৬ পুকুরের পানি শেষ হওয়ায় বৃষ্টি না পড়লে পানির সংকটে পড়বে দুই গ্রামের মানুষ।
জানা গেছে, সীতাকু-ের বিএম কন্টেইনার ডিপোর উত্তর পাশে কেশবপুর মোল্লাপাড়া গ্রাম। ওই গ্রামে প্রায় ২ হাজার মানুষের বসবাস। তাদের একজন মো. মোবারক। তার বাড়ির সামনে রয়েছে প্রায় দেড় একরের একটি পুকুর। সোমবার ওই পুকুর থেকে একটি পাম্প মেশিন দিয়ে পানি তুলেছে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
এসময় মোবারক হোসেন জানান, তাদের গ্রামের কয়েকশ’ মানুষ ওই পুকুরের পানি ব্যবহার করেন। অগ্নিকা- নিয়ন্ত্রণে তাদের পুকুর থেকে পানি নেয়ায়বিপাকে পড়েছেন স্থানীয়রা। ইতিমধ্যে ছোট বড় ৬ পুকুরের পানি শেষ। বৃষ্টি না হলে চরম পানি সংকটে পড়বে গ্রামবাসী।
স্থানীয় কেশবপুর মোল্লা পাড়া গ্রামের বয়োবৃদ্ধ মোহাম্মদ আলী জানান, বিএম কন্টেইনার ডিপোর আগুন নিয়ন্ত্রণ আনতে শুধু তাদের গ্রাম থেকে ৫টি পুকুরের পানি শেষ করা হয়েছে। এখন বৃষ্টি না হলে সাধারণ মানুষ পানি সংকটে পড়বে।
বিএম কন্টেইনার ডিপো আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করা কালুঘাট ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড ডিফেন্সের সিনিয়র স্টেশন কর্মকর্তা বাহার উদ্দিন জানান, তিনি কয়েকটি পুকুর থেকে ঘণ্টায় ৫০ হাজার লিটার পানি তুলেছেন।
ডিপো উত্তর পাশের বাসিন্দা ইসমাইল হোসেন বাবলু জানান, তাদের বাড়ির পাশের ও সামনে দুইটি পুকুরের পানি শেষ হয়ে গেছে। এখন তারা বৃষ্টির জন্য অপেক্ষা করছেন।
জানা গেছে, লালবেগ, কেশবপুর মোল্লাপাড়া গ্রামের মোবারকের বাড়ির সামনের পুকুর, বাবলুর বাড়ির ২টি পুকুর,পাশের মসজিদেও পুকুরসহ ৬টি পুকুরের পানি ইতিমধ্যে শেষ হয়ে গেছে। ফলে বৃষ্টি না হলে ওই সকল পুকুরে ব্যবহারকারীরা বিপাকে পড়বে।
স্থানীয় সোনাইছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনির আহম্মদ জানান, বিএম কন্টেইনার ডিপোর আগুন নিয়ন্ত্রণ আনতে তার ইউনিয়নের ২টি গ্রামের বেশ কয়টি পুকুরের পানি শেষ হয়ে গেছে। তবে কয়টি পুকুরে পানি শেষ হয়েছে তিনি নির্দিষ্ট করে জানাতে পারেনি।
ফেনী জেলা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারী পরিচালক পূর্ণ চন্দ্র মুৎসুদ্দি বলেন, ইতিমধ্যে বিএম কন্টেইনার ডিপোর আশপাশের ৬টি পুকুরের পানি শেষ হয়ে গেছে। পুকুরের পানি ফায়ার সার্ভিসের গাড়িতে নিয়ে তা থেকে অগ্নি দূর্গত স্থানে ব্যবহার করা হচ্ছে।