নিজস্ব প্রতিনিধি, মিরসরাই:
মিরসরাইয়ে অতিবৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে পানচাষিরা। অতিবৃষ্টির কারণে পানের বরজ ভেঙে নষ্ট হয়ে গেছে বরজের পান। অন্যদিকে কমে গেছে পানের দামও। ফলে চরম ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে উপজেলার অর্ধশত পানচাষি।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় ৫ একর জমিতে পানচাষ হয়ে থাকে। আগে উপজেলার হিঙ্গুলী ও ওয়াহেদপুর ইউনিয়নে প্রায় ১০ একর জমিতে পানচাষ হতো। কিন্তু সম্প্রতি ওয়াহেদপুর ইউনিয়নের কিছু অংশ সীতাকু- উপজেলায় সংযুক্ত হয়ে গেছে। ফলে মিরসরাইয়ে শুধুমাত্র হিঙ্গুলী ইউনিয়নের ৫ একর জমিতে পান চাষ হচ্ছে।
জানা গেছে, আগে প্রতি বিড়া (১৮ গণ্ডায় এক বিড়া) স্থানীয় বড় পান বিক্রি হয়েছে ১৫০-১৮০ টাকায়। মাঝারি পান বিক্রি হয়েছে ১০০-১৫০ টাকা ও ছোট পান বিক্রি হয়েছে ৫০-১০০ টাকায়। বর্তমানে প্রতি বিড়া বড় পান বিক্রি হচ্ছে ৫০-৮০ টাকায়। মাঝারি পান ৪০-৫০ ও ছোট পান বিক্রি হচ্ছে ২০-৩০ টাকায়। এতে পান বিক্রি করে উৎপাদন খরচ তুলতে পারছে না চাষিরা।
উপজেলার হিঙ্গুলী ইউনিয়নের পূর্ব হিঙ্গুলী গ্রামের পানচাষি প্রকাশ চৌধুরী বলেন, প্রতি বছর বর্ষায় পানের চাহিদা কম থাকে। তাই ভালো দাম পাওয়া যায় না। এ বছর অতিবৃষ্টিতে পানের দাম কমে যাওয়ার পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বরজও। এছাড়া করোনাভাইরাসের প্রার্দুভাবের কারণে কমে গেছে পানের চাহিদা।
মিরসরাই সহকারী কৃষি কর্মকর্তা কাজী নুরুল আলম জানান, বর্ষাকালে পানের চাহিদা একটু কমই থাকে। তাই দাম কমে যায়। এছাড়া অতিবৃষ্টি হলে পানের বরজ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তবে চাষিরা বর্ষার ক্ষতি শীতকালে পুষিয়ে নিতে পারে।