সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক »
তিন ম্যাচের মধ্যে দ্বিতীয় সেঞ্চুরির দেখা পেলেন সাইম আইয়ুব। বল হাতেও দেখালেন ঝলক। তরুণ এই অলরাউন্ডারের নৈপুণ্যে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ঘরের মাটিতে দ্বিপাক্ষিক ওয়ানডে সিরিজে প্রথমবারের মতো হোয়াইটওয়াশের লজ্জা দিয়েছে পাকিস্তান। রোববার ওয়ান্ডারার্সে বৃষ্টিবিঘ্নিত তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে পাকিস্তানের কাছে ডাকওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে ৩৬ রানে হেরেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। তিন ম্যাচের সিরিজে তারা হোয়াইটওয়াশ হয়েছে ৩-০ ব্যবধানে। সাইম আইয়ুব ব্যাট হাতে ১০১ রানের ইনিংস খেলার পর বল হাতে দুর্দান্ত পারফর্ম করেন। ১০ ওভারে ৩৪ রান দিয়ে পান ১টি উইকেট। নেন দুটি ক্যাচও। স্পিন বোলিংয়ের বিরুদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকার দুর্বলতা আরও একবার ফুটে উঠেছে এই ম্যাচে। অভিষিক্ত লেগস্পিনার সুফিয়ান মুকিম ৫২ রানে শিকার করেন ৪ উইকেট। দক্ষিণ আফ্রিকা চলতি বছর তিনটি ওয়ানডে সিরিজের মধ্যে মাত্র একটি জিতেছে এবং শারজাহতে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে পরাজয়ের পর আরও একবার ব্যর্থ হলো। ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে সাদা বলের কোচ রোব ওয়াল্টার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে দলটি ছয়টি ওয়ানডে সিরিজের মধ্যে মাত্র দুটি জিতেছে। অন্যদিকে নিউজিল্যান্ড, আফগানিস্তান, অস্ট্রেলিয়া এবং জিম্বাবুয়ের পর পাকিস্তানের এটি টানা পঞ্চম দ্বিপাক্ষিক সিরিজ জয়। দক্ষিণ আফ্রিকায় দুর্দান্ত একটি সফর কাটাচ্ছেন সাইম আইয়ুব। সেঞ্চুরিয়নে টি-টোয়েন্টি ম্যাচে অপরাজিত ৯৮ রান এবং পার্লে ১০৯ রানের ইনিংসের পর ওয়ান্ডারার্সে ১০১ রান করলেন তিনি। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমেছিল পাকিস্তান। শুরুতেই আবদুল্লাহ শফিক গোল্ডেন ডাকে ফেরার পর বাবর আজমের সঙ্গে ১১৪ রানের জুটি গড়েন আইয়ুব। বাবর ৫২ করে আউট হন। এরপর মোহাম্মদ রিজওয়ানের সঙ্গে ৯৩ রানের আরেকটি জুটি গড়েন আইয়ুব। ৯৪ বলে ১০১ রানের ঝড়ো সেঞ্চুরি ইনিংসে ১৩টি বাউন্ডারি আর ২টি ছক্কা হাঁকিয়ে সাজঘরে ফেরেন আইয়ুব। রিজওয়ান আউট হন ৫২ বলে ৫৩ করে। এরপর সালমান আগা এবং তাইয়াব তাহিরের ষষ্ঠ উইকেটে ৪৭ বলে ৭৪ রানের ঝোড়ো জুটি পাকিস্তানের স্কোর ৩০০ রানের ওপরে নিয়ে যায়। ৯ উইকেটে ৩০৮ রান তোলে পাকিস্তান। জবাবে একটা সময় ৩ উইকেটে ১২০ রান ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার। সেখান থেকে ৭ উইকেটে ২১২ রানে পরিণত হলে ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়ে প্রোটিয়ারা। আরও একবার হেনরিখ ক্লাসেন ঝড় তুলে দলকে জেতাতে চেষ্টা করেছেন। কিন্তু ৪৩ বলে তার ১২ চার আর ২ ছক্কায় গড়া ৮১ রানের ইনিংসটি গেছে বিফলে। ৪২ ওভারে ২৭১ রানে অলআউট হয় স্বাগতিকরা।