সুপ্রভাত ডেস্ক »
তারল্য সংকটে থাকা পাঁচ ব্যাংকের গ্যারান্টার হওয়ার ক্ষেত্রে সম্মতি দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বৃহস্পতিবার গ্যারান্টার চুক্তি সইয়ের ব্যাপারে সম্মতি জানিয়ে পাঁচ ব্যাংককে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বিষয়টি গণমাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র হুসনে আরা শিখা।
ব্যাংকসমূহ হলো- বেসরকারি খাতের ন্যাশনাল, সোশ্যাল ইসলামী, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী, ইউনিয়ন ও গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক। এসব ব্যাংক এতদিন এস আলম গ্রুপের নিয়ন্ত্রণে ছিল।
তারল্য সংকট নিরসনে আমানত বা প্লেসমেন্ট হিসেবে দুর্বল ব্যাংকে এ অর্থ রাখবে ভালো ব্যাংক। এর জন্য প্রথমে দুর্বল ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে সিদ্ধান্ত, পরে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে চুক্তি করতে হবে। চুক্তিপত্রের বিপরীতে এসব ব্যাংক নির্ধারিত মেয়াদে বিশেষ ধার পাবে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে এই বিশেষ কার্যক্রম শুরু হবে।
ছাত্র জনতার গনঅভ্যুত্থানে মুখে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতন হলে ব্যাংকগুলোর পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে মোট ১১টি ব্যাংকের পর্ষদ পুনর্গঠন করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। নামে-বেনামে ব্যাংকগুলো থেকে বিপুল অঙ্কের ঋণ নিয়ে পাচারের অভিযোগ খতিয়ে দেখছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকসহ বিভিন্ন সংস্থা।
এমন পরিস্থিতিতে সাময়িক সংকট মেটাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গ্যারান্টির বিপরীতে ধারের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। আর দুর্বল ব্যাংকের কাছ থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক ডিমান্ড প্রমিসরি (ডিপি) নোট নিয়ে রাখবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র হুসনে আরা শিখা বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকে এই মুহুর্তে নতুন টাকা চাপানোর কোন উদ্যাগ নিচ্ছেনা, তবে সবল ব্যাংক থেকে টাকা নিয়ে দুর্বল ব্যাংকে দিবে এবং টাকা ফেরত না দিলে তার গ্যারান্টার বাংলাদেশ ব্যাংক। অর্থাৎ বাজারের টাকা বাজারেই থাকবে।
বাংলাদেশ ব্যাংক যে ১১ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠন করেছে, সেই ব্যাংকগুলো থেকে টাকা তোলার ব্যাপক চাপ তৈরি হয়েছে। আতঙ্কে আমানতকারীদের অনেকে টাকা নিয়ে ভালো ব্যাংকে জমা করছেন। এ কারণে কিছু ব্যাংক চরম সংকটে পড়ছে। আবার কিছু ব্যাংকে প্রচুর উদ্বৃত্ত রয়েছে। মূলত উদ্বৃত্ত থাকা ব্যাংকই সংকটে পড়া ব্যাংককে টাকার ব্যবস্থা করবে।