স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ভবন মালিক শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ী আবুল খায়েরের মেয়ের জামাতা। তার নাম লোকমান হাকিম। তিনি ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক।
পুলিশ জানায়, ডাকাতিতে অংশ নেওয়া এক যুবক ওই ভবনে আগে গৃহকর্মীর কাজ করতেন। পূর্বপরিকল্পিতভাবেই এই ডাকাতি করা হয়েছে। সকাল ১১টার দিকে তারা ওই ভবনে প্রবেশ করেন। একপর্যায়ে চিৎকার-চেচামেচি শুনে স্থানীয়রা ১২টার পরে ৯৯৯-এ ফোন করে বাসার বাইরে রক্ত দেখা গেছে এবং শোরগোলের ঘটনা জানান। এরই মধ্যে তিন ডাকাত পালানোর সময় একজনকে ধরে পুলিশে দেন স্থানীয়রা।
এরপর বেলা পৌনে ১টার দিকে ঘটনাস্থলে পুলিশ ও র্যাব সদস্যরা হাজির হন। সেনাবাহিনীও একপর্যায়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। দুপুর সোয়া ২টার দিকে পুলিশ, র্যাব ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ভবনের ভেতরে প্রবেশ করে পাঁচ মিনিট ধরে অভিযান চালিয়ে আরও এক ডাকাতকে আটক এবং জিম্মিদশা থেকে লোকমান হাকিমকে উদ্ধার করে।
অভিযান শেষে নগর পুলিশ কমিশনার হাসিব আজিজ সাংবাদিকদের বলেন, ‘ঘটনার পর থেকে আমরা এখন পর্যন্ত দুজনকে গ্রেপ্তার করেছি। এ ঘটনায় কেউ মারা যাননি। তবে ২ জন আহত হয়েছেন। তাদের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ডাকাতি করতে যাওয়া লোকজন ওই ভবনে কাজ করতেন জানিয়ে পুলিশ কমিশনার বলেন, ‘যা বুঝতে পারছি— ডাকাতির উদ্দেশেই তারা বাসায় প্রবেশ করেছে। আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে। দেখি আরো কিছু পাওয়া যায় কিনা। যারা ডাকাতির জন্য বাসায় প্রবেশে করেছে তারা এখানেই (বাসায়) কাজ করতো। একটা অপারেশন শেষ হয়েছে মাত্রা। তদন্ত শুরু হবে, তদন্ত পর্যায়ে আমরা আরো তথ্য উদঘাটন করার চেষ্টা করবো।’
তিনি আরও বলেন, ‘ডাকাতদের একজন ভিকটিমকে বাথরুমে বন্দি করে রাখে। তখন ভিকটিমকে উদ্ধার এবং চক্রের সদস্যকে গ্রেপ্তার করার জন্য সাউন্ড গ্রেনেড ছোঁড়া হয়েছে।’
ওই বাড়ির মালিক আওয়ামী লীগ রাজনীতির সঙ্গে জড়িত কিনা—জানতে চাইলে তিনি বলেন, তাঁর রাজনৈতিক কোনো সংশ্লিষ্টতা এখন পর্যন্ত জানা যায়নি। তদন্তের পর বিস্তারিত তথ্য জানানো হবে।’
পুলিশ, র্যাব সম্মিলিতভাবে অভিযান চালিয়ে ডাকাতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে।