উপকূলীয় এলাকায় রাত ১০টার পর জোয়ার বাড়বে, চট্টগ্রামে সর্বোচ্চ গতিবেগ রেকর্ড হয়েছে ৫৫ কিলোমিটার
নিজস্ব প্রতিবেদক :
অবশেষে পূর্ব নির্ধারিত রুট থেকে একটি বাম দিকে (পশ্চিম দিকে ) বেঁকে পশ্চিমবঙ্গ দিয়ে স্থলভাগে উঠলো ঘূর্ণিঝড়ের চোখ। তবে চোখ উঠলেও এর আশপাশের এলাকায় ঝড়ের আঘাত চলছে। পশ্চিমবঙ্গের হলদিয়ার উপর দিয়ে বিকাল চারটায় তা স্থলভাগে উঠলেও পুরো ঝড়টি স্থলভাগে উঠতে সময় লাগবে। এজন্য ঘূর্ণিঝড়ের চোখের ডান দিকে ভারতীয় অংশের সুন্দরবন এবং বাংলাদেশ সুন্দরবন, সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, বরিশাল, পিরোজপুর, বরগুনা প্রভৃতি জেলার উপকূলীয় এলাকায় রাত আটটা পর্যন্ত ঝড়ের প্রভাব চলার কথা। একইসাথে এসব এলাকায় চলবে সাগরের বাড়তি উচ্চতার জোয়ার।
চট্টগ্রামে কতো বেগে বাতাস প্রবাহিত হয়েছে জানতে চাইলে আবহাওয়া অধিদপ্তর পতেঙ্গা কার্যালয়ের আবহাওয়াবিদ ফরিদ আহমেদ বলেন, ‘বিকাল চারটার দিকে কয়েক মিনিটের জন্য একটি দমকা হাওয়া প্রবাহিত হয়েছে। তখন বাতাস রেকর্ড হয়েছে ঘণ্টায় ৫৫ কিলোমিটার। আর এর পর থেকে বাতাসের গতিবেগ ৩৫ থেকে ৪০ কিলোমিটারের মধ্যে উঠানামা করছে।
জোয়ার কখন বাড়বে জানতে চাইলে তিনি বলেন, রাত ১০টার পর উপকূলীয় এলাকায় জোয়ারের উচ্চতা বাড়বে। কারণ অমাবশ্যার কারণে তখন জোয়ার বেশি থাকবে এবং সেই সাখে সাগর থেকে আসা ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব তো রয়েছে।
আবহাওয়াবিদদের সাথে কথা বলে জানা যায়, অমাবশ্যার কারণে এবারের ঘূর্ণিঝড়ে সবচেয়ে বেশি সংকেত দেয়া হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ে বাতাসের গতিবেগ হয়তো ১৪০ থেকে ১৬০ কিলোমিটারের মধ্যে ছিল। রেকর্ড পাওয়ার পর বলা যাবে। কিন্তু বাড়তি জোয়ারে উপকূলীয় এলাকা প্লাবিত হবে। এমনিতেই উপকূলীয় এলাকায় বিকাল থেকে বাড়তি জোয়ার চোখে পড়েছে।
এদিকে এর আগে ঘূর্ণিঝড় আম্পান পূর্ব নির্ধারিত গতিপথ অনুযায়ী একটু পশ্চিম দিকে সরে গিয়ে সোজা উত্তর দিকে পশ্চিমবঙ্গের দিকে অগ্রসর হয়েছে। এর আগে সকালে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর মোংলা ও পায়রাকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত এবং চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারকে ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছিল।
উল্লেখ্য, পূর্ব মধ্যবঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি ঘূর্ণিঝড় প্রথমে খুব শক্তিশালী ছিল। পরবর্তীতে তা গতি হারিয়েছে। একসময় এর গতিবেগ ২৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত ছিল, এখন এর গতিবেগ কমে ১৪০ থেকে ১৬০ কিলোমিটার হয়েছে। তবে উপকূলে আঘাতের পর আরো কমে যায়।