সুপ্রভাত ডেস্ক »
পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ ২৪ পরগনার হুগলি নদীর ঘোড়ামারা দ্বীপ সংলগ্ন এলাকায় ছাইবোঝাই বাংলাদেশি জাহাজ ডুবে গেছে। চিৎকার শুনে ওই জাহাজ থেকে ১৬ জন কর্মীকে উদ্ধার করেছে গঙ্গাসাগর থানার পুলিশ।
শুক্রবার ভোরের দিকে এমভি সি ওয়ার্ন্ড জাহাজটি ডুবে যায়। জাহাজটি নামে বাংলাদেশি শিপিং কোম্পানির মালিকানাধীন।
এক মাসের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের নদীতে দ্বিতীয় বার ডুবে গেল বাংলাদেশি জাহাজ।
জানা গেছে, জাহাজটি পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কোলাঘাট থার্মাল পাওয়ার স্টেশন থেকে ছাইবোঝাই করে বাংলাদেশে ফিরছিল। পথেই আচমকা জাহাজের তলায় বড় শব্দ হয়। এরপরই জাহাজে পানি ঢুকতে শুরু করে। এরপর ধীরে ধীরে নদীতে তলিয়ে যেতে শুরু করে জাহাজটি। বর্তমানে জাহাজটি নদীতে সম্পূর্ণ ডুবে গেছে।
তবে উদ্ধার করা হয়েছে জাহাজটির ১৬ ক্রু সদস্যের সবাইকে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ভোরে ঘোড়ামারা দ্বীপ সংলগ্ন এলাকায় জাহাজটি মুড়িগঙ্গা নদীর চরে ধাক্কা মারায় ডেকসহ বডিতে মাঝখান থেকে বড় ফাটল ধরে। তারপর সেখান দিয়ে হু হু করে পানি ঢুকতে শুরু করে। বিষয়টি বুঝেই জাহাজের নাবিকরা ‘বাঁচাও বাঁচাও’ বলে চিৎকার শুরু করে দেন। তখন নদীতে স্থানীয় মৎস্যজীবীরা চিৎকার শুনে পণ্যবাহী জাহাজটির কাছে যান। তাঁরাই নাবিকদের কয়েকজনকে উদ্ধার করে সাগর থানায় খবর দেন।
কিছুক্ষণের মধ্যেই স্পিড বোট নিয়ে ঘটনাস্থলে হাজির হয় গঙ্গাসাগর থানার পুলিশ বাহিনী।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা পুলিশ জানিয়েছে, ক্রু সদস্যদের প্রত্যেকেই থানায় পুলিশের আশ্রয়ে আছেন। স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য তাদের নেওয়া হয়েছে স্থানীয় রুদ্রনগর গ্রামীণ হাসপাতালে। সকলেই সুস্থ আছেন। ঘটনাটি জাহাজটির মালিক কোম্পানিকে জানিয়েছে জাহাজটির কর্মীরা। তাদের সিদ্ধান্ত জানার পর জাহাজ উদ্ধারের কাজ শুরু হবে।
এর আগে হুগলি জেলার বাঁশবাড়িয়া সংলগ্ন এলাকার গঙ্গায় ডুবে যায় এডি বছিরউদ্দিন কাজি নামে আরেকটি বাংলাদেশি জাহাজ। ত্রিবেণীর ব্যান্ডেল থার্মাল পাওয়ার স্টেশন (বিটিপিএস) থেকে ছাই নিয়ে ফিরছিল কার্গো জাহাজটি। এই ঘটনার একমাস না কাটতেই ফের জাহাজডুবির ঘটনা ঘটল।