পলিথিন পচে না, নষ্ট হয় না। বরং মাটি নষ্ট করে দেয়। পলিথিন বা প্লাস্টিক পোড়ালে বায়ুদূষণ হয়। আর কোথাও ফেলে দিলে এটা কয়েক শ বছর পর্যন্ত থাকে।
দেশে পলিথিন বা প্লাস্টিক ব্যবহার ক্রমে ভয়াবহ হয়ে উঠছে। প্রতিবছর এটি বাড়ছে। এখনই কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে। তা না হলে বেঁচে থাকা কঠিন হয়ে দাঁড়াবে। পলিথিন ও প্লাস্টিক আমাদের শুধু পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যকে ধ্বংস করছে না, মানবস্বাস্থ্যের ওপর এর ব্যাপক প্রভাব পড়ছে।
নগরের বিভিন্ন খাল হয়ে প্রতিদিন অন্তত ৭৮৫ টন বর্জ্য মিশছে কর্ণফুলীতে। এর বেশিরভাগই পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর প্লাস্টিক ও পলিথিন।
চট্টগ্রাম নগরীর সবগুলো বাজার থেকে পলিথিন মুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছিলেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী। এই ঘোষণাটা দিয়েছিলেন ২০২২ সালের ২৬ জানুয়ারি। মেয়র বলেছিলেন ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে নগরীর সবগুলো বাজার একে একে পলিথিন মুক্ত হবে। কিন্তু সেই ঘোষণা আমরা কার্যকর হতে দেখিনি।
এবার পলিথিন মুক্ত চট্টগ্রাম বাস্তবায়নে মাঠে নামছে জেলা প্রশাসন। পহেলা জুলাই থেকে চট্টগ্রামকে পলিথিন মুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন। বুধবার (৩১ মে) সার্কিট হাউসের সম্মেলন কক্ষে চট্টগ্রামকে পলিথিনমুক্ত করতে অংশীজনদের সাথে মতবিনিময় সভায় এ সিদ্ধান্ত জানায় জেলা প্রশাসন। সভায় মহানগরীর বাজারগুলো পলিথিনমুক্ত করতে সকলের সহযোগিতা কামনা করা হয়। এছাড়া পলিথিনের বিকল্প হিসেবে পাটের তৈরি ব্যাগ ব্যবহার নিশ্চিতে গুরুত্বারোপ করা হয়।
নগরীকে পলিথিন মুক্ত করার আগে চট ও কাগজের ব্যাগ সহজলভ্য করতে হবে। আমাদের দেশের পাট পৃথিবীর সেরা। এমনভাবে পাটের বিকল্প পণ্য উৎপাদন করতে হবে, যেন দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানি করতে পারি। এ ক্ষেত্রে আমাদের ব্যাপক কর্মসংস্থানের সুযোগ হবে। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন হবে।
২০০২ সালে পলিথিনের ব্যবহার বন্ধের আইন হয়েছিল। আজ এত বছর পরও পলিথিনের ব্যবহার বেড়েই চলেছে। তেমন কোন উন্নতি হয়নি। পরিবেশ ঠিক রাখতে প্লাস্টিকের টেকসই ব্যবস্থাপনার কোনো বিকল্প নেই।
আইন, নীতি হয় কিন্তু কার্যকর হয় না। মানুষকে সচেতন করতে না পারলে যত ভালো আইন থাকুক, কাজ হবে না।
পলিথিন মুক্ত চট্টগ্রাম
চাই সচেতনতা ও আইনের কার্যকর প্রয়োগ